|| হাসান আল মাহমুদ ||
ভারতের হলদওয়ানিতে পুলিশের বর্বরতা ও বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেছেন, ‘উত্তরাখণ্ড সরকারের উচিত পুলিশি অ্যাকশনে নিহত নিরপরাধ লোকদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়া।
জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালানো পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
এসময় তিনি উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে পুলিশকে নৃশংসতার জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে রাজ্য সরকার সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত নিরপরাধ লোকদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি প্রদান করতে হবে।
মুসলিমদের বিশিষ্ট সংগঠন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম মিল্লাত টাইমসের খবরে বলা হয়, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ আখ্যায়িত করে মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, ‘নতুন নতুন সংঘাত সৃষ্টি করে শুধু মুসলমানদের উসকানি নয়, তাদেরকে প্রান্তিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও মুসলিমরা নজিরবিহীন ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আগে গঠনমূলক কর্মসূচী, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয় নিয়ে নির্বাচন করা হতো, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রদায়িক শক্তি জনগণকে ধর্মীয় বিষে ভরিয়ে দিয়েছে এবং এখন সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সারাদেশের নির্যাতিত মানুষের ন্যায়বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম, কিন্তু বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরাও আদালত বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে হতাশ। এমনকি যদি তা বাবরি মসজিদ বা জ্ঞান ভাপির জামিয়া মসজিদ বা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রেই হোক না কেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি হলদওয়ানির বিন ফুলপুরা এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভাঙার ঘটনায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন পৌরসভার কর্মী ও পুলিশকে পাথর ছুড়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী থানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। পরে উত্তেজিত জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এই সহিংসতায় ৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়।
তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকরাও ছিলেন। জামিয়ার সভায়, জ্ঞান ভাপি মামলার বিষয়ে রেজুলেশন পাস করা হয়েছিল এবং উপাসনালয় সংক্রান্ত ১৯৯১ সালের আইনের কঠোর প্রয়োগের আবেদন করা হয়েছিল। সূত্র: মিল্লাত টাইমস
হাআমা/