মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিতান্তই ছোটলোকি: মিজানুর রহমান আজহারী দুধকুমার নদে ডুবে প্রাণ গেল হাফেজ তাসিম বিল্লাহর আলিয়া মাদরাসা শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজার  ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: শায়খ আহমাদুল্লাহ  মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশকে হত্যার হুমকি, গ্রেপ্তার যুবদলের ২ নেতা মার্সেলের ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর গ্রেপ্তার    বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি: মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার : প্রেস সচিব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় জামায়াতের প্রতিবাদ

যেভাবে নির্মিত হলো মসজিদে নববি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হিজরতের বছর ৬২২ সালে শুরু হয় মসজিদে নববির নির্মাণকাজ। ৬২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় সাত মাস সময় লাগে এর কাজ শেষ হতে। মদিনায় প্রবেশের পর রাসুল (সা.)-এর উট কাসওয়া যে জায়গাটিতে বসে পড়েছিল, সেখানেই তৈরি করা হয় ঐতিহাসিক মসজিদে নববি। মদিনার দুই এতিম বালক সাহল ও সোহাইলের কাছ থেকে ১০ দিনারের বিনিময়ে জায়গাটি কিনে নেওয়া হয়। টাকা পরিশোধ করেন হজরত আবু বকর (রা.)। জমির ছোট এক অংশে রাসুল (স.)-এর জন্য বাসস্থান এবং বাকি অংশজুড়ে তৈরি করা হয় মসজিদ।

হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) হিজরত করে মদিনায় এসে বনি আমর ইবনে আওফ গোত্রের এলাকার উঁচুভূমিতে পৌঁছে চৌদ্দ রাত অবস্থান করলেন। বনি নাজ্জারের লোকজন তাঁকে ঘিরে ছিল। সবার মনে একটাই আকুতি, নবীজি (সা.) যেন তাদের মেহমান হন। আল্লাহর কুদরতি ফায়সালাকারী উট আবু আইয়ুব আনসারি (রা.)–র বাড়িতে এল। সেখানেই নবীজি (সা.) অবস্থান করলেন।

সাহাবি আনাস (রা.) বলেছেন, যেখানে নবীজির (সা.) উট থেমেছিল, তার চৌহদ্দি বা সীমানায় ছিল একটি বাগান। বাগানটিতে ছিল খেজুরগাছ, কিছু কবর আর কিছু ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ।

নামাজের সময় হলেই নবীজি (সা.) নামাজ আদায় করতেন। নবীজি (সা.) মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে নির্দেশ পেলে বনি নাজ্জার গোত্রের নেতাদের ডেকে পাঠালেন। তারা এলে তিনি তাদের বললেন, বনি নাজ্জার, তোমাদের এই বাগানটি অর্থের বিনিময়ে আমার কাছে বিক্রি করবে?

তারা বলল, না, আল্লাহর শপথ, আমরা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করব না। তবে আমরা আল্লাহর কাছেই এর প্রতিদানের প্রত্যাশা রাখব।

বাগান মালিকদের অনুমতি পেয়ে নবীজি (সা.) নির্দেশ দিলেন, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলো, কবরগুলো খুঁড়ে ফেলো এবং ধ্বংসাবশেষগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দাও। নামাজের স্থানটুকু পবিত্র হলে ভূপৃষ্ঠের যেকোনো জায়গায় নামাজ পড়তে কোনো বাধা নেই।

তারা খেজুরগাছের গুঁড়িগুলো কিবলার দিকে সারি করে রেখে দরজার দু পাশে পাথর স্থাপন করল।

আনাস (রা.) বলেন, এসব কাজ করার সময় তারা এক সুরে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন।

তাদের সঙ্গে নবীজিও এক স্থানে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণই প্রকৃত কল্যাণ। তুমি আনসার ও মুহাজিরদের সাহায্য করো।’ (মুসলিম, হাদিস: ৫২৪)

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ