শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ

ওয়াক্ত ছুটে গেলে কাজা নামাজ আদায়ের বিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নামাজ অন্যতম ফরজ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে ৮২ বার নামাজের কথা এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)।

আবার হাদিসেও একাধিকবার নামাজ আদায়ের কথা এসেছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপরও। এমনকি খোদ মহান আল্লাহর কাছেও যথাসময়ে সালাত আদায় করা অধিক প্রিয় আমল।

আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রা. বর্ণনা করেন, আমি রাসুল সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, যথাসময়ে সালাত আদায় করা। ইবনু মাসঊদ রা. পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, এরপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাসঊদ রা. আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কোনটি? রাসুল সা. বললেন, এরপর আল্লাহর পথে জিহাদ বা জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২)

তবে ভুলবশত কিংবা অন্য কোনো বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গেলে পরবর্তীতে সেই নামাজ কাজা আদায় করতে হয়। বিশেষ করে ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে তার কাজা আদায় করা আবশ্যক। অধিকাংশ ইসলামিক স্কলারদের মতে, যে ওয়াক্তের নামাজ কাজা হবে, পরের ওয়াক্তের সালাত আদায়ের আগে সেই কাজা আদায় করতে হবে। অর্থাৎ, কেউ কারও যদি যোহরের ওয়াক্ত ছুটে যায়, তাহলে আসরের ওয়াক্তের আগে তাকে যোহরের কাজা আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু ফরজ নামাজ আদায় করলেই হবে। সুন্নত না পড়লে কোনো অসুবিধা নেই। আর কাজা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সূরা-কেরাত মূল নামাজের মতোই।

তবে ফজরের নামাজ যদি ছুটে যায় তবে সে ক্ষেত্রে কাজা আদায়ের সময় দুই রাকাত সুন্নত আদায় করা ভালো। এ বিষয়ে রাসুল সা. এর একটি হাদিস পাওয়া যায়। আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী, রাসুল সা. এক সফরে ছিলেন। ওই সফরের মধ্যে তিনি সফরসঙ্গীদের বললেন, তোমরা আমাদের ফজরের নামাজের প্রতি দৃষ্টি রাখো। তবে ফজরের সময় কেউ উঠতে পারেন না। পরে রৌদ্রের তাপ গায়ে লাগার পর ঘুম থেকে উঠলে ওই স্থান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে সবাই অজু করেন। পরে বিলাল রা. আজান দেয়ার পর প্রথমে সবাই ফজরের দুই রাকাত সুন্নত এবং তারপর দুই রাকাত ফরজ আদায় করেন। (সুনান আবু দাউদ: ৪৩৭)।

যে ব্যক্তির জিম্মায় কাজা নামাজ রয়েছে, তার জন্য উত্তম হলো নফল নামাজের পরিবর্তে কাজা নামাজ আদায় করা। কেননা সে কাজা নামাজ সম্পর্কে কিয়ামতের দিন প্রশ্নের মুখে পড়বে, নফল নামাজ সম্পর্কে নয়। কাজা নামাজ আদায় করার সময় সূরা কেরাত পাঠ করার ক্ষেত্রে মূল নামাজের অনুকরণ করতে হবে। যদি সফরের সময় কারো কসর নামাজ কাজা হয়ে থাকে, তবে বাড়িতে ফেরার পরে তার কাজা কসরই আদায় করতে হবে অর্থাৎ চার রাকাতের জায়গায় দুই রাকাত আদায় করতে হবে। তেমনি ঘরে কাজা হওয়া নামাজ যদি কেউ সফরে গিয়ে আদায় করে তবে পূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ