বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ।। ১৪ কার্তিক ১৪৩১ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভোলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ ৬০ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি ৫ বানিয়াচংয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ সাঘাটার খাদ্য কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত, ৫২ লাখ টাকা জরিমানা বার্মিংহামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত বিচারপতি জুবায়ের রহমানকে প্রধান করে ইসি পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি নোয়াখালীতে ৩ লক্ষ টাকার বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার শিবচরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুজন গুরুতর জখম, ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ নওগাঁ রাণীনগরে যুবদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প যশোরে মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস রহ. ফাউন্ডেশনের ক্রয়মূল্যে কাঁচাবাজার খাগড়াছড়ি কাটিংটিলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কারী সাইদুর রহমান আর নেই

হায়াত বৃদ্ধি পায় যেসব আমলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামের বিধান অনুসারে, কোনো মুসলমানের জন্য স্বাভাবিকভাবে হায়াত বাড়ানোর দোয়া করা শরিয়তসম্মত একটি বৈধ কাজ। নেক আমল বা দোয়ার দ্বারা আল্লাহর পক্ষ থেকে হায়াত বাড়ে হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

জীবন-মৃত্যু নির্ধারিত। প্রত্যেক মানুষ তার নির্ধারিত সময়ে মৃত্যুর সঙ্গে আলিঙ্গন করবে। কিন্তু এমন কিছু কাজ আছে, যে কাজগুলো করলে আল্লাহ তায়ালা তার হায়াত বৃদ্ধি করে দেবেন। হায়াত বৃদ্ধি পাওয়া আক্ষরিক অর্থেও হতে পারে।

অথবা এর অর্থ হলো, মহান আল্লাহ হায়াতে বরকত দান করেন। যার কারণে অল্প সময়ে অনেক বেশি সত্কর্ম করা সম্ভব হয়। ফলে কেউ (উদাহরণস্বরূপ) ৭০ বছরের আমল ৫০ বছরেই করে ফেলতে পারে। কিংবা মহান আল্লাহ তাকে এমন কাজ করার তাওফিক দান করবেন, যা মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণ রাখবে।

এক. মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। সালমান ফারসি রা. বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২১৩৯)

দুই. আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখা। আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখা ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান।

যারা আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখে তাদের জীবনে আল্লাহ তায়ালা অদৃশ্য বরকত দান করবেন। আনাস ইবনু মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি চায় যে তার রিজিক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বর্ধিত হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬)

তিন. প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা। ইসলামে প্রতিবেশীর দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ আমরা সামাজিক জীব।

আমাদের জীবনে প্রতিবেশীর ভালোবাসার প্রয়োজন অপরিহার্য। যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর হক আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার হায়াতে বরকত দান করবেন। আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সা. বলেছেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, চরিত্র সুন্দর করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২৫২৫৯)

এখানে তিনটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণের বিশেষ গুরুত্ব আছে। তিনটি বিষয় জীবনে শান্তি আনার ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব রাখে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ