মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪ ।। ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ ।। ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় কবি আসাদ বিন হাফিজ স্মরণ-সন্ধ্যা 'দুর্নীতিবাজদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না' প্রজন্মকে সঠিক পথে ধরে রাখতে আকাবির-মনীষী চর্চা অতীব প্রয়োজনীয় : মাওলানা আফেন্দী পদ্মাসেতু রক্ষণাবেক্ষণে হচ্ছে নতুন কোম্পানি সাত মাস পর আল-শিফার পরিচালককে মুক্তি দিল সন্ত্রাসী ইসরায়েল তিস্তা চুক্তি সমাধানের মূল প্রতিবন্ধকতা মমতা: কাদের কাতারে মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত  ‘দেওবন্দ আন্দোলন; ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান’ ইতিবাচক সমালোচনাকে মোবারকবাদ : আনাম সাজিদ গর্ভে থাকা অবস্থায় সন্তানের আকিকা করা যাবে ? সৌদির কারাগারে আটক ৫ হাজার ৭শ বাংলাদেশি

বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন নবীজি সা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

|| নুর আলম ||

বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। সারাদিন রিমঝিম বৃষ্টি। এই সময় আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের এক নেয়ামত এবং রহমত। নবী করিম সা. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন। তিনি তার উম্মতদেরকেও বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন।

এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ মাটিকে সতেজ করেন, তা থেকে ফল-ফলাদি, শস্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন।

বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎসও হলো বৃষ্টি। এ ছাড়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সচল রাখতে এবং কৃষ্টি সেচব্যবস্থা সচল রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরীসীম।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাঁর এই মহা নিয়ামতের ব্যাপারে বলেন, ‘আর তিনিই সে সত্তা, যিনি তাঁর (রহমত) বৃষ্টির আগে বায়ু প্রবাহিত করেন সুসংবাদ হিসেবে, অবশেষে যখন সেটা ভারী মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি সেটাকে মৃত জনপদের দিকে চালিয়ে দিই, অতঃপর আমি তা দ্বারা বৃষ্টি বর্ষণ করি, তারপর তা দিয়ে সব রকমের ফল উৎপাদন করি। এভাবেই আমরা মৃতদের বের করব, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো। ’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৫৭)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আপনি কি দেখেন না, আল্লাহ আকাশ থেকে ভারি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূমিতে নির্ঝররূপে প্রবাহিত করেন। তারপর তা দ্বারা বিভিন্ন বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়।

ফলে আপনি তা হলুদ বর্ণ দেখতে পান, অবশেষে তিনি সেটাকে খড়-কুটায় পরিণত করেন? এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য। ’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ২১) 

এজন্য নবীজি সা. উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। এবং বৃষ্টি এলে খুশি হতেন। বৃষ্টির পানি স্পর্শ করতেন।

আনাস রা. বলেন, আমরা রাসুল সা.-এর সঙ্গে ছিলাম এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন রাসুল সা. তাঁর কাপড় খুলে দিলেন। ফলে এতে বৃষ্টির পানি পৌঁছাল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল, এরূপ কেন করলেন? তিনি বলেন, কেননা এটা মহান আল্লাহর কাছ থেকে আসার সময় খুবই অল্প। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৬৮)

বৃষ্টির অন্যতম ফজিলত হলো, বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।

সুনানে আবু দাউদের ২৫৪০ নম্বর হাদিস থেকে জানা যায়, বৃষ্টির সময় বান্দার দোয়া কবুল হয়। তাই ইসলামি স্কলাররা বৃষ্টির সময় বেশি বেশি দোয়া করার কথা বলেন। এ সময় নিজেদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্য দোয়া করা এমনকি কল্যাণকর বৃষ্টির জন্যও দোয়া করা। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টির সময় নিচের দোয়াটি করতেন।

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিয়া।

অর্থ : হে আল্লাহ্! মুষলধারায় কল্যাণকর বৃষ্টি দাও। সহিহ বোখারি : ১০৩২

বৃষ্টি দেখলে নবী কারিম সা. এ দোয়াটিও পড়তেন।

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সায়্যিবান হানিয়া।

অর্থ : হে আল্লাহ! বরকতপূর্ণ ও সুমিষ্ট পানি দান করো। সুনানে আবু দাউদ : ৫০৯৯

তাই মুমিনের কর্তব্য বৃষ্টির সময় মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। যদি অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়, যা ফসল ইত্যাদি নষ্ট করতে পারে, জনজীবনে দুর্ভোগ নামাতে পারে, তাহলে আল্লাহর কাছে সেই বৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাওয়া।

রাসুল সা. অতিবৃষ্টি দেখলে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়া লা আলাইনা’ অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ করো, আমাদের ওপরে নয়। (নাসায়ি, হাদিস : ১৫২৭)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ