শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন

মসজিদে রাত্রিযাপন অবস্থায় গোসল ফরজ হলে, কাপড় বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে বের হতে হবে কি?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় যদি কারো গোসল ফরজ হয় তাহলে সে কী করবে? এক্ষেত্রে সমাজে অনেক ধরনের কথা প্রচলিত আছে, কেউ কেউ বলে, মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় গোসল ফরজ হলে কোনো একটি কাপড় মসজিদের ফ্লোরে বিছিয়ে বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদ থেকে বের হতে হবে। কেউ বলে, ঘুমানোর সময় সাথে মোজা রাখবে এবং গোসল ফরয হলে মোজা পরে মসজিদ থেকে বের হবে। তাদের ধারণা- এ অবস্থায় যেহেতু শরীর অপবিত্র থাকে তাই অপবিত্র শরীর মসজিদের ফ্লোরে লাগানো যাবে না। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় গোসল ফরয হলে কোনো কিছু বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে না; স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হতে পারবে। তবে মসজিদে যেন কোনো নাপাকী না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবে এবং জাগ্রত হওয়ার পর মসজিদে অপেক্ষা করবে না; বরং দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে পবিত্র হবে।

ইবনে আবি নাজীহ রাহ. বলেন- আমি মসজিদে হারামে ঘুমালাম। আমার স্বপ্নদোষ হল। তখন আমি সাঈদ ইবনে জুবায়ের রাহ.-কে জানালে তিনি বললেন-   যাও, গোসল করে নাও। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা ৪৯২৩

আর মসজিদে যেন কোনো নাপাকী না লাগে সেদিকে তো খেয়াল রাখতেই হবে; সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু গোসল ফরয হওয়ার কারণে মসজিদের মেঝের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারবে না- এটি নিছক একটি ভুল ধারণা। পায়ে নাপাকী লেগে না থাকলে হেঁটে যেতে সমস্যার কিছু নেই। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায়) আয়েশা রা.-কে বললেন, ‘খুমরা’টা (ছোট জায়নামাজ বিশেষ) দাও। তখন তিনি বললেন, আমি তো হায়েজ অবস্থায় আছি। (অর্থাৎ আমি তো অপবিত্র; এ অবস্থায় কীভাবে এটা দিব?)। একথা শুনে নবীজী বললেন-   হায়েজের নাপাকী তো তোমার হাতে লেগে নেই! (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৮; শরহে মুসলিম, নববী) । সূত্র : মাসিক আল কাউসার।

এম আই/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ