ভারতের উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ থেকে নিখোঁজ হওয়া ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে উত্তরপ্রদেশের বড়েলি জেলায় এনে মাসব্যাপী জিম্মি করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক নিজেকে এক মন্দিরের পুরোহিত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তার সঙ্গে থাকা ১৩ বছরের আরেক কিশোরী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
পরিবারের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চার বছর আগে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গাঢ় হয় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকেশে যেতেন। এরই মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করেন ওই যুবক।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরীকে বড়েলিতে যেতে বলে।
সঙ্গে যায় তার ১৩ বছরের আত্মীয়া। লাল ফাটক এলাকায় পৌঁছানোর পর মেয়েটিকে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় এবং বাধা দিলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে কিশোরীর পরিবার বড়েলির সিনিয়র এসএসপি অনুরাগ আর্যের শরণাপন্ন হয় এবং তার লিখিত হস্তক্ষেপে পুলিশ অভিযানে নামে।
পরিবারের সঙ্গে থাকা আইনজীবী নরেন্দ্র রানা বলেন, নিখোঁজ ১৩ বছরের মেয়েটিকে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। পুরো ঘটনাটির নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত প্রয়োজন।
বড়েলি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং ঘটনা সংক্রান্ত আইনানুগ কার্যক্রম ঋষিকেশ পুলিশ পরিচালনা করবে।
এনএইচ/