পাঞ্জাবের খালিস্তান আন্দোলনের নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন এক ঘোষণায় বলেছেন, ভারতের যেকোনো সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে পাঞ্জাবের গোটা শিখ সম্প্রদায়।
স্থানীয় সময় শনিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা কখনোই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাঞ্জাবের ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে দেব না’।
রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পান্নুন বলেন, ‘আমরা দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে এক প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছি’।
একই সঙ্গে তিনি ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কঠোর সমালোচনা করে জানান, ‘ভারতে বিশেষ করে শিখদের প্রতি যে দমননীতি চলছে, তা আজ গোটা বিশ্ব দেখছে’।
এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পান্নুন বলেন, ‘এখন ১৯৬৫ বা ১৯৭১ সাল নয়, এটা ২০২৫। পরিস্থিতি পাল্টে গেছে’।
এ সময় পাকিস্তানের নামের তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান’ শব্দের অর্থই পবিত্রতা। আমাদের ঐতিহ্য হলো, আমরা কখনো আগ্রাসন শুরু করি না, করবোও না’।
ভারতীয় নেতৃত্বের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পান্নুন বলেন, ‘যে আক্রমণ করে, সে টেকে না — সেটা ইন্দিরা গান্ধীই হোক, নরেন্দ্র মোদি হোক বা অমিত শাহ’। পাশাপাশি, তিনি জানান, ‘আমরা মোদি, অজিত ডোভাল, অমিত শাহ ও এস জয়শঙ্করকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করব’।
এছাড়াও পান্নুন দাবি করেন, ভারতের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক হামলা আসলে ভারতীয় সরকারের একটি ‘লোক দেখানো’ আক্রমণ। ভারত এর মাধ্যমে নিজেদের হিন্দু নাগরিকদেরই হত্যা করেছে রাজনৈতিক সুবিধা ও নির্বাচনী লাভের উদ্দেশ্যে।
পান্নুনের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন ভারতীয় উপমহাদেশে আঞ্চলিক উত্তেজনা চরমে। আর এর ফলে ভারতে রাষ্ট্রীয় মদদে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে।
এমএইচ/