বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইবতেহাল আবু সাঈদ এর চিৎকার: গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রে মাইক্রোসফট কিভাবে সহায়তা করছে? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায়  ঢাকায় আগত নতুন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক: ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনা প্রস্তাব, যুদ্ধ না শান্তিপূর্ণ সমাধান? ভর্তি শুরু জামিয়া রাহমানিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসায়  দেশব্যাপী সরকারি ফার্মেসি চালু, অল্পদামে মিলবে ২৫০ রকম ঔষধ বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এনডিবি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ বারিধারা মাদরাসায় হেফাজতের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সভা

সোমবার পশ্চিম তীর, শরণার্থী শিবির ও প্রবাসে পূর্ণদিবস হরতালের ডাক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চলমান গণহত্যা এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আগামীকাল সোমবার পশ্চিম তীর, শরণার্থী শিবির এবং প্রবাসে পূর্ণদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনের জাতীয় ও ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো।

রবিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে "আল-কুওয়া আল-ওয়াতানিয়্যাহ ওয়াল-ইসলামিয়্যাহ" বা জাতীয় ও ইসলামি শক্তিগুলো জানায়, সোমবারের এই হরতাল হবে "ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এবং শরণার্থী শিবির ও প্রবাসে সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে একটি সর্বাত্মক প্রতিবাদ।"

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই হরতাল হচ্ছে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ-আন্দোলনকে সফল করার আহ্বান, যাতে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর নৃশংসতা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়। গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং দখলদারদের বর্বরতা বন্ধে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতে এই হরতালের আয়োজন।”

এদিকে, ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে জনগণকে এই হরতালে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার এবং বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে। হামাস নেতা আব্দুর রহমান শাদীদ বলেন, “গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর যে গণহত্যা, জাতিগত নিধন ও নির্মূল অভিযান চলছে, এবং পশ্চিম তীরে দখলদার বাহিনী ও তাদের বসতকারীদের নৃশংস আগ্রাসন ও অত্যাচার চলছে—এই অবস্থায় দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও আন্দোলনই একমাত্র উপায়।”

তিনি আরও বলেন, “পশ্চিম তীরের প্রতিটি জনগণ, প্রতিটি শহর ও গ্রামের মানুষকে এখন তাঁদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চলছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং প্রতিরোধের অংশ হওয়া আজ জাতীয় কর্তব্য।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার ৬৯৫ জনে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন—এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতিপূর্বে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হওয়া সমঝোতা থেকে সরে গিয়ে ইসরায়েল আবারও নতুন করে আক্রমণ শুরু করে, যা ২০তম দিনের মতো চলছে।
ফিলিস্তিনিদের ডাকা এই হরতাল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি তাই শুধু গাজার জন্যই নয়, বরং গোটা বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষের প্রতি একটি নৈতিক আহ্বান হয়ে উঠেছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ