ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে লেবাননে অভ্যন্তরীণভাবে ২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘লেবাননে বসবাসকারী ৫০ হাজারেরও বেশি লেবানিজ ও সিরিয়ান এখন ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।’
লেবানন ও সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে লেবাননের পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী নাসের ইয়াসিন বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় লেবানন থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।
নাসের ইয়াসিন বলেন, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি হামলা জোরদার হওয়ায় লেবাননের হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েল আন্তঃসীমান্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। গাজায় ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননেও বিমান হামলা তীব্র করেছে ইসরায়েলে। গত শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। আজ রোববারও লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
হাআমা/