রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪ ।। ২২ আষাঢ় ১৪৩১ ।। ১ মহর্‌রম ১৪৪৬

শিরোনাম :
এবার বেনজীরের ডুপ্লেক্স বাড়ি জব্দ বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সারা দেশে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু প্রসঙ্গ একাধিক মাদরাসায় হাদিস পড়ানো, যা বললেন মুহাদ্দিস মাওলানা লিয়াকত আলী মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই  ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে বিশ্বনেদের অভিনন্দন হুদাদুর্গাপুর ছাত্র সংগঠনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ‘আকাবিরদেরকে নিয়ে নেগেটিভ উপস্থাপনকারীরা ইসলামের কল্যাণকামী হতে পারে না’ আমি আপনাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম: ইরানের প্রেসিডেন্ট ৮ দিনেও সন্ধান মেলেনি মাদরাসা ছাত্র সোয়াইবের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সালামি'র সাহিত্য আড্ডা 

যে শর্তে ইসরায়েলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই বন্ধ করবে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর উপ-প্রধান শেখ নাইম কাসেম এই ঘোষণা দিয়েছেন। বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। খবর ডেইলি সাবাহর।

শেখ নাইম কাসেম বলেন, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়, আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই থামব। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ মিত্র হামাসের জন্য একটি সমর্থন ফ্রন্ট হিসেবে। যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, এই সামরিক সমর্থন আর থাকবে না।

তবে, ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার না করলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘাত কেমন হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, গাজায় যা ঘটে তা যদি যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের মাঝামাঝি হয় তাহলে আমাদের জবাব কেমন হবে, তা এখনো বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর ধরন, ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো জানি না।

গত অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা করছে। হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সমর্থনে তারা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে। এসব হামলায় দুই পক্ষের বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত ১১ জুন ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার তালিব সামি আবদুল্লাহ নিহত হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ শত্রু ঘাঁটিতে হামলা জোরদার করে। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তেল আবিবকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিলেও নেতানিয়াহু সরকার তা আরও বাড়িয়ে চলেছে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ