শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’ হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ: ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজের অজান্তেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ভয়ঙ্কর দৃশ্য জুমার দিন যে আট আমল করবেন পাকিস্তানের ধাওয়ায় ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধানের চাকরি গেল আগামীকালের মহাসমাবেশে ট্রাফিক ও গাড়ি পার্কিং নির্দেশনা র-এর নথি ফাঁস! কাশ্মীর হামলায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ভারতে স্কুলের খাবারে সাপ, অসুস্থ শতাধিক শিশু ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

হায়েজা ও ইস্তিহাজা মহিলার নামায ও রোযার হুকুম কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এক মহিলার রমজান মাসে রাতের বেলা খুবই অল্প পরিমাণে হায়েজ হলো, আবার ভোররাতে সে হায়েজ এর কোন চিহ্ন দেখতে পেলনা, সে রোজা রেখে দিল। সারাদিন তার কোন হায়েজ হলোনা, আবার রাতের বেলা আগের মতই খুবই অল্প পরিমাণে হলো। আবার ভোররাতে সে রোজা রেখে দিল।

এভাবেই কয়েকদিন চলতে থাকলো। মোটকথা তার রাতের বেলা খুবই অল্প পরিমাণে হায়েজ হয় কিন্তু সারাদিন আর কোন হায়েজ এর চিহ্ন পাওয়া যায় না। এভাবে অনবরত চলতে থাকে। এখন এই মহিলার নামাজ রোজার হুকুম কি? সে যে রোজা গুলো রেখেছে সেগুলো হবে কি?  তিনদিনের কম হায়েজ হলে তার হুকুম কি?

উত্তর

بسم الله الرحمن الرحيم

যদি উক্ত মহিলার পূর্ব থেকে হায়েজের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে, তাহলে উক্ত সময়টা হায়েজ ধরা হবে। বাকি দিনগুলো ইস্তিহাজার হুকুমে হবে।

আর যদি সময় নির্দিষ্ট না থাকে, তাহলে দশদিন পর্যন্ত হায়েজ ধরা হবে। এর পর থেকে ইস্তিহাজার হুকুম হবে।।

হায়েজ অবস্থায় নামায পড়া যায় না। রোযাও রাখা যাবে না। তবে পরবর্তীতে রোযার কাযা করতে হবে। কিন্তু নামাযের কাযা করতে হবে না।

আর ইস্তিহাজার সময়টিতে নামায ও রোযা সবই করতে হবে।

উদাহরণতঃ

যারা অনবরত উক্ত পদ্ধতিতে রক্ত আসতে থাকে, তার যদি পূর্ব নির্ধারিত সময় হয় ৫দিন। তাহলে রক্ত আসার সময় থেকে ৫দিন হায়েজ ধরা হবে। এর পর থেকে ইস্তিহাজা। পরের মাসেও ৫দিন হায়েজ। বাকি দিনগুলো ইস্তিহাজা হিসেবে গণ্য হবে।

আর যদি সময় নির্ধারিত না থাকে, তাহলে দশদিন হায়েজ। বাকি দিনগুলো ইস্তিহাজা ধরবে।

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الْبَابُ السَّادِسُ فِي الدِّمَاءِ الْمُخْتَصَّةِ بِالنِّسَاءِ وَفِيهِ أَرْبَعَةُ فُصُولٍ، الْفَصْلُ الثَّالِثُ فِي الِاسْتِحَاضَةِ-1/37)
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ، فَذَلِكَ نُقْصَانُ دِينِهَا»

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হায়েজা মহিলা নামায পড়বে না এবং রোযা রাখবে না, এটা কি ঠিক নয়? আর এটাই তাদের দ্বীনের ত্রুটি। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৫১]

عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقُلْتُ: مَا بَالُ الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ، وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ. فَقَالَتْ: أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ؟ قُلْتُ: لَسْتُ بِحَرُورِيَّةٍ، وَلَكِنِّي أَسْأَلُ. قَالَتْ: «كَانَ يُصِيبُنَا ذَلِكَ، فَنُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّوْمِ، وَلَا نُؤْمَرُ بِقَضَاءِ الصَّلَاةِ»

হযরত মুআজা বলেন, আমি আয়শা রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম-হায়েজার হুকুম কী? সে কি রোযার কাযা করবে? নামাযের কাযা করবে না? আম্মাজান বললেন- তুমি হারুরিয়ার অধিবাসী? আমি বললাম- নাহ।আমিই প্রশ্ন করছি। তিনি বললেন- “আমাদের এমন হলে, আমাদের রোযার কাযার আদেশ দেয়া হতো, কিন্তু নামাযের কাযার নির্দেশ দেয়া হতো না। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৩৫]

উপরোক্ত আলোচনার আলোকে আপনার প্রশ্নের উত্তর হলঃ

আগে থেকে হায়েজের সময় নির্ধারিত থাকলে সেই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত রোযা ও নামায হয়নি। নামায আর পরে কাযা করতে হবে না কিন্তু রোজাগুলো রমজানের পর কাযা করতে হবে।

নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করার পরের সময় রোযাও রাখতে হবে, নামাযও পড়তে হবে।

আর যদি সময় নির্দিষ্ট না থাকে, তাহলে লাগাতার এভাবে চলতে থাকলে দশদিন পর্যন্ত হায়েজ ধরা হবে। এ সময় রোযা ও নামায হয়নি বলে সাব্যস্ত হবে। পরবর্তীতে রোযার কাযা করতে হবে নামাযের লাগবে না।

দশ দিন অতিক্রম করার পরের রোযা ও নামায বিশুদ্ধ হবে।

তিনদিনের কম হায়েজ হয় না। হায়েজের সর্বনিম্ন সময়সীমা হল তিন দিন। হায়েজের রক্ত যদি এর আগেই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেটিকে ইস্তিহাজা ধরা হবে। অর্থাৎ এর দ্বারা নামায ও রোযা মাফ হবে না।

সুত্র: http://ahlehaqmedia.com

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ