শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’ হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ: ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজের অজান্তেই ক্যামেরায় ধরা পড়ে পেহেলগামে জঙ্গি হামলার ভয়ঙ্কর দৃশ্য জুমার দিন যে আট আমল করবেন পাকিস্তানের ধাওয়ায় ভারতের বিমান বাহিনীর উপপ্রধানের চাকরি গেল আগামীকালের মহাসমাবেশে ট্রাফিক ও গাড়ি পার্কিং নির্দেশনা র-এর নথি ফাঁস! কাশ্মীর হামলায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ভারতে স্কুলের খাবারে সাপ, অসুস্থ শতাধিক শিশু ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা বন্ধ পাকিস্তানের আকাশ : ৬০০ মিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ এয়ার ইন্ডিয়ার

তারাবিহ নামাজে চার রাকাত পরে দোয়া পড়ার বিধান কী?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তারাবিহ নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর মুসল্লিরা একটি দোয়া পড়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না পঠিত দোয়ার বিধান কী।

অনেকে মনে করেন প্রতি ৪ রাকাত পর হামদ ও ছানা সংবলিত ওই দোয়াটি পড়া জরুরি। আবার কেউ কেউ বলেন, একেবারেই ভিত্তিহীন এর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এ নিয়ে অনেক সময় মুসুল্লিদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই এর সমাধান কী।

তারাবিহ নামাযের প্রতি চার রাকাত পর নির্দিষ্ট কোন দোয়া দরূদ পড়ার কথা বিশুদ্ধ সূত্রে হাদীসে বর্ণিত হয়নি। কিন্তু চার রাকাত পর এতটুকু সময় বসা মুস্তাহাব, যতক্ষণ সময় চার রাকাত নামায পড়তে সময় লেগেছে।

সেই সময় নফল নামায পড়া, তাসবীহ পড়া, দরূদ পড়া, জিকির করা, কুরআন তিলাওয়ত করা, কিংবা চুপ করে বসে থাকা, মক্কায় হলে তওয়াফ করা সবই জায়েজ।

[সুরা তারাবি পড়বেন না খতম তারাবি?]

তবে হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কোন একটি কাজকে আবশ্যকীয় মনে করার কোন সুযোগ নেই। সুযোগ নেই নির্দিষ্ট কোন দোয়াকে জরুরী মনে করা।

যেহেতু যেকোন দুআ ও দরূদ এ সময়ে পড়া যায়। সেই হিসেবে কিছু কিছু ফুক্বাহায়ে কেরাম এ সময়

سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، نَسْأَلُك الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِك مِنْ النَّارِ

হামদ ও ছানার এই দোয়াটি পড়তে বলেছেন।

এটা জরুরী, বা সুন্নত-মুস্তাহাব হিসেবে পড়তে বলেননি। বরং এসময় চুপ করে থাকার চেয়ে দোয়া দরূদ, জিকির আজকার করা উচিত। সেই হিসেবে তারা একটি চমৎকার আল্লাহর হামদ এবং দোয়ার শব্দময় উক্ত বাক্যগুলো পড়তে বলেছেন।

[সারাদেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহবান, যেভাবে পড়বেন]

এটি পড়া যায়। কিন্তু সুন্নত-মুস্তাহাব বা জরুরী মনে করা যাবে না। পড়লেও অসুবিধা নেই, না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।

 

সুত্র: ahlehaqmedia.com

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ