বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
একজন পাকিস্তানিরও ক্ষতি হলে ভয়াবহ পরিণাম হবে: খাজা আসিফ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আসছেন না পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে পর্যটক হত্যার দায়ভার কি ভারত এড়াতে পারে? আ. লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে : আমিরে মজলিস জর্ডানে নিষিদ্ধ হলো মুসলিম ব্রাদারহুড  নারী সংস্কার কমিশনের ইসলামফোবিয়া নিয়ে জাতীয় সেমিনার ৩০ এপ্রিল ‘জনরায়কে সম্মান দিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করুন’ আস-সুন্নাহয় সাবলম্বী খোকন মিয়া জাকাতদাতা হয়ে উঠতে চান মৌলভীবাজারে মাদরাসায় হামলার ঘটনায় অস্ত্রসহ আটক ৩ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে পূর্ণ সমর্থন কাতার প্রধানমন্ত্রীর, সহায়তার আশ্বাস

হাদিস বিশ্বকোষ ‘আল-মুদাওয়ানা আল-জামিয়া’র অন্যতম রচয়িতা মুফতি মাহমুদ হাসান 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তানের দারুল উলূম করাচিতে কর্মরত বাংলাদেশের এই আলেম ইতোমধ্যেই উপমহাদেশে ইলমি ময়দানে তাঁর  অবদানের জন্য বেশ সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন।

বিশ্ব মুসলিম সমাজের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সুবিশাল হাদিস বিশ্বকোষ “المدونة الجامعة للأحاديث المروية”। এই বিশ্বকোষ রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও সক্রিয় অবদান রেখে চলেছেন বাংলাদেশের এক বিজ্ঞ আলেম মুফতি মাহমুদ হাসান।

এই প্রকল্পে তিনি প্রায় ২৪ বছর যাবৎ নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন। সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি স্কলার শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানী। এতে বিশ্বে বিদ্যমান সকল হাদিসকে হুকুমসহ একত্রিত করা হবে এবং প্রতিটি হাদীসকে একটি বৈশ্বিক শনাক্ত নাম্বার (رَقمٌ عَالَميٌّ) দ্বারা চিহ্নিত করা হবে।

গ্রন্থের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা

এখন পর্যন্ত বিশ্বকোষটির ১৮ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। মুদাওয়ানা টিম এর ভাষ্যমতে, এটি প্রায় ৫০ খণ্ড পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে, গ্রন্থটির পূর্ণতা পেতে আরও দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে। এরপরে বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে মুফতি মাহমুদ হাসানের।

একজন নিবেদিত গবেষক ও শিক্ষক

বর্তমানে তিনি উপমহাদেশে শীর্ষ ইসলামি বিদ্যাপীঠ জামিয়া দারুল উলূম করাচিতে হাদিস গবেষক ও দারুল ইফতার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে করাচির একটি মাদরাসায় নিয়মিত সহিহ বুখারির দরস প্রদান করছেন।

শিক্ষাজীবন ও পারিবারিক পরিচয়

মুফতি মাহমুদ হাসানের জন্ম ১৯৮২ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায়। ২০০১ সালে তিনি জামিয়া দারুল উলূম করাচি থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন এবং ২০০৪ সালে তাখাসসুস ফিল-ফিকহ শেষ করেন। এরপর থেকে তিনি করাচিতেই হাদিস গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন।

পারিবারিক জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর পিতা, মরহুম মাওলানা রুহুল আমিন ছিলেন একজন সম্মানিত আলেম এবং নিজ এলাকায় একটি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর শ্বশুর শাইখুল হাদীস মাওলানা আফজালুর রহমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রবীণ ও শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন।

একটি যুগান্তকারী খেদমত

হাদীস ও ফিকহে তাঁর এই নিরলস খেদমত সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্য এক বিশাল সম্পদ হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে হাদিসের সম্ভারটি বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই হাদিসের বিশ্বকোষ হাদিস সংরক্ষণে মজবুত ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আল্লামা ড. ইউসুফ আল-কারযাভি, আল্লামা ড. মুহাম্মদ মুস্তফা আল-আজমি, মুফতি রফী উসমানী শাইখুল ইসলাম মুফতি মুহাম্মদ তাকী উসমানী, ড. আবদুল মালেক বিন বকর আব্দুল্লাহ কাজী, শাইখ মাহমুদ আত-তাহহান, শাইখ আবদুস সাত্তার বিন আব্দুল করীম আবু গুদ্দাহ, ড. মুহাম্মদ সায়্যিদ নুহ, ড. নেজাম ইয়াকুবির উপস্থিতিতে মক্কায় অনুষ্ঠিত একটি সভার পর এই বিশ্বকোষ সংকলনের কাজ শুরু হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় দারুল উলুম করাচির উপর। দারুল উলুম করাচিতে এই কাজের জন্য একটি আলাদা বিভাগ খোলা হয়, যাতে ৪০ জন গবেষক নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা নাঈম আশরাফ।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ