শাইখুল হাদিস মাওলানা লোকমান মাযহারী বলেছেন, হাশরের মাঠে কোরআনের হাফেজরা তাদের মা-বাবাকে সাহায্য করতে পারবে। কিয়ামতের দিন মানুষ আত্মীয় স্বজন থেকে পালাবে। সবাই নিজেকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাচানোর চেষ্টা করবে। কেউ কারো দিকে তাকাবে না। এমন কঠিন সময়ে একজন হাফেজ দশজন আত্মীয়কে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে।
হাফেজের সম্মানের কথা উলে্লখ করে তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন কোরআনের হাফেজের বাবা-মাকে আল্লাহ তায়ালা নুরের মুকুট পরাবেন। যা সূর্যের চেয়েও বেশি আলোকিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সন্তান কোরআনের হাফেজ হলে মৃত ব্যাক্তির কবরে সর্বদা সওয়াব পৌঁছতে থাকে।
গতকাল (মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি) দারুত তারবিয়াহ আল-ইসলামিয়া মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগরি, সবক ও পুরষ্কার প্রদান উপলক্ষে মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে শাইখুল হাদিস আল্লামা লোকমান মাযহারী এসব কথা বলেন।
মাহফিল শুরু হয় আসরের পর থেকে। এ সময় মাদরাসার ছাত্ররা উপস্থিত শ্রোতাদের কোরআন তেলাওয়াত করে ও ইসলামি সঙ্গীত গেয়ে শোনায়। মাগরিবের পর থেকে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু হয়।
এছাড়া মাহফিলে আলোচনা করেন মসজিদুল আকবরের খতিব মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, ড. ইয়াছিন ফারুক মাক্কী, মুফতি আশেক এলাহি ইমরান হালিমি, মুফতি কবির আহমাদ আশরাফী প্রমুখ আলেম উপস্থিত ছিলেন।
মাদরাসার পরিচালক মুফতি ইব্রাহীম খলীল কাওছারী জানান, এশার নামাজের পর হাফেজ ছাত্রদের পাগরি পরানো হয়। পাগরি পরিয়ে দেন শাইখুল হাদিস আল্লামা লোকমান মাযহারী।
তিনি আরও বলেন, একইসাথে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী ছাত্রদের পুরষ্কার প্রদান করা হয় এবং হিফজ বিভাগে নতুন ছাত্রদের সবক প্রদান করা হয়।
মুফতি ইবরাহীম খলীল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! মাদরাসার ছাত্ররা পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী। এখানের শিক্ষকগণও মেহনতি। চলতি শিক্ষাবর্ষে মাদরাসার ছাত্র সংখ্যা ৭০ জন। এরমধ্যে হিফজ বিভাগে রয়েছে ১৫ জন। ইনশাআল্লাহ আশা করি, সামনে আরও বাড়বে।
মাহফিলের সভাপতি ছিলেন, মাদরাসার উপদেষ্টা আলহাজ মনিরুল হক সিদ্দিক ও আলহাজ মইজ আহমেদ। মাহফিল সঞ্চালনা করেন, অত্র মাদরাসার উপদেষ্টা আলহাজ আনোয়ারুজ্জামান ও জনাব মুহাম্মাদ মামুন মিয়া।
হাআমা/