বহুবছর ধরে বাংলাদেশের হাফেজগণ বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার নিয়ে আসছে। দেশের সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে। মাদরাসাগুলো হচ্ছে আলোর মিনার আর আলেমগণ আকাশের তারকা। আলেম সমাজ আছে বলেই এখনও মসজিদের মিনার থেকে আজান শোনা যায়। মানুষ ইসলামকে জানতে পারছে। এ কাজকে আরও বেগবান করতে কওমি মাদরাসার সনদকে কার্যকরি করতে প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন সেক্টরে আলেমদের নিয়োগ দিতে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আজ শুক্রবার ( ১নভেম্বর ) কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণে নিবেদিত দেশের ঐতিহ্যবাহী দীন-দরদী সংগঠন আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৩ দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিল সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা হজ্জের খরচ কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ১লক্ষ টাকা কমাতেও পেরেছি। আরও খরচ কমাতে বিকল্প পথ হিসেবে সমুদ্র পথে হাজী পাঠাতে সৌদির সঙ্গে কথা বলেছি৷ আমি আশাবাদী '২৬ সাল হতে যেন আমরা সমুদ্র পথে হজযাত্রী পাঠাতো পারবো। এছাড়াও আমাদের ধর্মীয় সেক্টরকে আরও সমৃদ্ধ করতে, উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি করতে চেষ্টা চলমান রয়েছে।
মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন ও মাওলানা রিজওয়ান আরমানের সঞ্চালনা ও মুফতী জসীমউদ্দিন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা মীর কাসেম ও মাওলানা সোলায়মানের ধারাবাহিক সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কারী সাঈদুল ইসলাম আসাদ।
আর্ত মানবতার সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় দেশের আলোচিত সেবামূলক সংগঠন আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে আল-আমিন সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মাহফিলে আরও তাফসীর পেশ করেন আল্লামা মুফতী রশীদুর রহমান ফারুক, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতী রাফি বিন মুনির, মুফতী সিরাজুল্লাহ মাদানী, মুফতী সোলাইমান, মাওলানা ইসমাইল খান প্রমুখ।
হাআমা/