|| হাসান আল মাহমুদ ||
বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ৪৭তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাসের হার ৭৬.৩২%।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ২০২৪/ ২৪ শে রমজান ১৪৪৪ হিজরী) বেফাক মিলনায়তনে বেলা ৩টায় বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান-এর উপস্থিতিতে মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ফলাফল ঘোষণা করেন।
উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতী মনসূরুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আব্দুল জলিল ফারুকী, মাওলানা মনিরুজ্জামান, মাওলানা জাফর আহমাদ, মাওলানা শওকত হুসাইনসহ বেফাকের কর্মকর্তা ও অতিথিবৃন্দ।
পড়ুন : ঈদের আগে কি দাওরায়ে হাদিসের ফল প্রকাশ হবে? যা জানালো হাইআতুল উলয়া
স্তরভিত্তিক মেধা তালিকা
ফযীলত (স্নাতক):
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর-এর মাহদী হাছান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭০।
২য় স্থান অধিকার করেছে খুলনা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম, মুসলমানপাড়া রোড, খুলনা সদর-এর মো: হাফিজুর রহমান রায়হান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৫১।
৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলূম ঢালকানগর-এর যুহাইর আহমদ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৫০।
পড়ুন : উল্লেখযোগ্য ফতোয়া বিভাগগুলোর ওয়েবসাইট নাই কেন
মহিলা শাখায়: মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে হবিগঞ্জ জেলার আল জামেয়াতুত্বায়্যিবা (কওমী মহিলা মাদরাসা), বানিয়াচং-এর মোছা: মারজিয়া আক্তার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫১।
২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে-
- ঢাকা জেলার জামিয়া দারুস সুফফা লিল বানাত, মোহাম্মদপুর-এর বুশরা জান্নাত ও
- নারায়ণগঞ্জ জেলার ইব্রাহীমিয়া আমীনিয়া মহিলা মাদরাসা-এর ফাতেমাতুজ্জহরা। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫০।
৩য় স্থান অধিকার করেছে নাটোর জেলার খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) মহিলা মাদরাসা, গুরুদাসপুর-এর সামানিয়া জান্নাত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৪।
পড়ুন : ‘শাড়ী-লুঙ্গি নয়, গরীবের প্রয়োজন মেটে এমন জিনিস দিয়েই যাকাত দেওয়া উত্তম’
সানাবিয়া উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক):
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামেউল উলূম মাদরাসা, মিরপুর-১৪-এর আবু ইউসুফ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮০।
২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে-
- ঢাকা জেলার মাদরাসা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা., মিরপুর-এর মুহাম্মদ বিন নূর ও কুমিল্লা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুড়া-এর জাহিদুল ইসলাম। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭০।
- ৩য় স্থান অধিকার করেছে ময়মনসিংহ জেলার দারুল উলূম নিজামিয়া মাদরাসা-এর তালহা বিন শাকির। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭।
মহিলা শাখায়: মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা-এর নুসাইবা বিনতে সায়েম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৫।
২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে-
ঢাকা জেলার জামিয়া সাহবানিয়া দারুল উলূম (বানাত শাখা), শেওড়াপাড়া-এর সুবাইতা বারীরা রহমান ও ঢাকা জেলার জামিয়াতুত তায়্যিবাত মোহাম্মদপুর-এর রুতবা মালিক। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৬।
৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়াতুত তায়্যিবাত মোহাম্মদপুর-এর জুওয়াইরিয়া বিনতে যুবায়ের। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৫।
মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক):
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে-
চাঁদপুর জেলার জামিয়া কুরআনিয়া এমদাদুল উলূম, ফুলছোঁয়া-এর মুহাঃ তাওহীদুল ইসলাম ও মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর-এর ইউসুফ মিয়া। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর, ওয়াসা রোড, যাত্রাবাড়ী-এর মো: আব্দুল্লাহ খাঁন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।
৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৫ জন। যথাক্রমে-
- নারায়গঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি-এর আদনান,
- নারায়গঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি-এর মামুনুল হক,
- নারায়নগঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি-এর মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান,
- মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর-এর মো: শেখ মাছুম বিল্লাহ, • কিশোরগঞ্জ জেলার জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ-এর নূরে আলম মোহাম্মদ নূরুল্লাহ। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।
মহিলা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাহমুদিয়া মহিলা মাদরাসা, মাহমুদ নগর, ডেমরা-এর মিম ফরাজী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৭।
২য় স্থান অধিকার করেছে ময়মনসিংহ জেলার জামিয়াতুল হুমাইরা (রাঃ) লিল বানাত, ফুলপুর-এর মোছা: তানিয়া খাতুন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৬।
পড়ুন : ‘নব্বই পার্সেন্ট মুসলমান হিসাবে ধর্মীয় শিক্ষায় আগ্রহীর পরিমান আরো বেশি হওয়া দরকার’
৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৩ জন। যথাক্রমে-
* ময়মনসিংহ জেলার উথুরা উম্মাহাতুল মু'মিনীন (রা.) মহিলা মাদরাসা, ভালুকা-এর আছিয়া নূরে তাছমিন,
* ময়মনসিংহ জেলার জামিয়াতুল হুমাইরা (রাঃ) লিল বানাত, ফুলপুর-এর মোছা: সুরাইয়্যা সুলতানা,
নারায়ণগঞ্জ জেলার বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদরাসা, বন্দর-এর খুকুমনি আক্তার। তাদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪।
ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারি):
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে
- ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর-এর মোঃ মাহমুদুল হাসান ও
- নারায়গঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি-এর মো. আব্দুল্লাহ। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৪।
২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার দারুল ফিকরি ওয়াল ইরশাদ ঢাকা বাংলাদেশ, কদমতলী-এর মো: মুশফিকুর রহমান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯৩।
পড়ুন : বিশ্বজয়ী হাফেজের দেশ বাংলাদেশে কেন আসছে না বিদেশি হিফজ শিক্ষার্থী
৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামেয়া হাকীমুল উম্মত, মোজাদ্দেদ নগর, আড়াকুল, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ-এর রিদওয়ান আহমাদ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯২।
মহিলা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে লালমনিরহাট জেলার আলহাজ্ব আবুল কাশেম ও মরহুমা ফাতেমা খাতুন মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদরাসা, আদিতমারী-এর খাদিজাতুল কোবরা মাসুমা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯১।
পড়ুন : পুলিশ সদস্যদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কওমি পড়ুয়া মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম
২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে দুজন। যথাক্রমে-
- ঢাকা জেলার মাদরাসা আয়েশা সিদ্দীকা (রা), ঢালকানগর, সূত্রাপুর-এর উম্মে হাবীবা ও
- লালমনিরহাট জেলার আলহাজ্ব আবুল কাশেম ও মরহুমা ফাতেমা খাতুন মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদরাসা, আদিতমারী-
এর আফরোজা বেগম। তাদের উভয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৫৯০।
৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার নুসাইবা (রা) বালিকা মাদরাসা, দক্ষিণ বারিধারা, বাড্ডা-এর মুহতাসিনা বিনতে রায়হান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৮৯।
হিফযুল কুরআন:
পুরুষ শাখায় ১১৭টি গ্রুপে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রতি গ্রুপে ১ম-৩য় স্থান অর্জনকারী পৃথক পৃথকভাবে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অনেকেই।
মহিলা শাখায় ৭টি গ্রুপে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রতি গ্রুপে ১ম-৩য় স্থান অর্জনকারী পৃথক পৃথকভাবে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অনেকেই।
ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত:
বিভাগে ৬টি গ্রুপে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রতি গ্রুপে ১ম-৩য় স্থান অর্জনকারী পৃথক পৃথকভাবে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অনেকেই।
হাআমা/