বরিশাল ব্যুরো
বরিশালের রানী হালদার লাউ চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এবার লাউয়ের ভালো ফলন হওয়ায় ভীষণ খুশি তিনি।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নে আহতি বাট্রায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫ শতাংশ জমিতে লাউয়ের বিশাল ক্ষেত করেছেন রানী হালদার। তার ক্ষেতের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে লাউ। রোদ উপেক্ষা করে রানী হালদারসহ তার স্বামী দিজেন্দ্র নাথ হালদারকে নিয়ে ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলায় ধরিত্রী প্রকল্পের কৃষি প্রদর্শনী প্লট-এর মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের তুজাম্মেল হক ফকির কারিতাস ধরিত্রী প্রকল্প মাধ্যমে কেঁচো সার উৎপাদন করার পাশাপাশি সেই সার ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করে বিক্রি করা ও কেঁচো সার উৎপাদন করে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রি করে মাসে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করে সংসার চালান। পাশেই সানাউল খন্দকার কারিতাসের ধারিত্রী প্রকল্পের ভার্মি প্রদর্শনী শেড তৈরি করাসহ সবজি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছে। অন্যদিকে কারিতাস ধরিত্রী প্রকল্প থেকে কমিউনিটি বিক্রয় ও তথ্য সেবা কেন্দ্রে লিপি বেগম সবজি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়াসহ স্বাস্থ্যসম্মত সবজি হাতের নাগলে পাওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। উপজেলায় এ ভাবে শতাধিক পরিবার কারিতাস বাংলাদেশের ধরিত্রী প্রকল্পের মাধ্যমে স্ববলম্বী হয়েছেন।
এ বিষয়ে কারিতাস ধরিত্রী প্রকল্পের উপজেলা ইনচার্জ এডওয়ার্ড অন্তু রায় জানান, এই প্রকল্প আরো দীর্ঘমেয়াদী হলে আমরা আরো মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারব। আরো অনেক পরিবাকে স্বাবলম্বী করতে পারব।