সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ পৌষ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ ঘিরে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা ভারতে পাচার হচ্ছে রসুন চাঁদপুরের কচুয়ায় সাদপন্থীদের বয়কটের ঘোষণা আস্থা নষ্ট হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া যাবে না: তারেক রহমান থার্টি ফার্স্ট নাইট আমাদের কী দিয়েছে? দুধের শিশু উমায়েরের লাশ! মুমূর্ষ অবস্থা থেকে আশংকামুক্ত কলরব শিল্পী আহনাফ খালিদ শ্রীমঙ্গলে আঞ্জুমানে তা'লীমুল কুরআন বাংলাদেশের ফুযালা ও সুধী সমাবেশ হাটহাজারীতে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন ‘স্বাধীনতার পর থেকে সকল সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘকে আহ্বান’ ফেনীর মসজিদের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’

সাইবার বুলিংয়ের বিচার চায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশানের নামে সাইবার বুলিংয়ের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন।

ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশান পেজের নামে নারী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বুলিং করা হচ্ছে৷  অনুমতি ছাড়াই গোপনে ছবি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে ফেসবুক পেজে। ছবির সাথে যুক্ত করা হচ্ছে প্রেমের প্রস্তাব এবং যৌন সুড়সুড়িমূলক লেখা। এতে বিব্রত শিক্ষার্থীরা।

বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব, চবির সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ বলেন, "ক্রাশ অ্যান্ড কনফেশান পেজের নামে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুমতি ছাড়া গোপনে ছবি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনা অনুমতিতে কারো ব্যক্তিগত ছবি তোলা, গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং আইনত অপরাধ। সবকিছুরই একটা সীমা-পরিসীমা আছে, সীমা অতিক্রম করা কোন ক্ষেত্রেই সুফল বয়ে আনে না! আপনার যেরকম নিজের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সৎ মাধ্যম এবং স্বাধীনতা আছে। ঠিক তেমনি অন্যের স্বাধীনতা হরণ করে অন্যের পার্সোনাল স্পেসে প্রবেশ করে, তা নিয়ে তামাশা করার অধিকার কিন্তু একেবারেই নেই। অনধিকার চর্চা করবেন না প্লিজ। আমাদের মেয়েদের অনলাইনে বুলিং করা হচ্ছে। সেই সাথে পেইজ গুলোতে অশ্লীলতা প্রোমোট করা হচ্ছে। আমরা এগুলো বন্ধ এবং জড়িতদের বিচার চাই।"

চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন নাওয়াল ফাতিমা বলেন, "ক্রাশ এন্ড কনফেশান পেইজগুলো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিজম করার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। কারো অনুমতি ব্যতীত ছবি তোলা এবং পাবলিকলি প্রচার করে বেড়ানো খুবই গর্হিত একটি কাজ। এই কাজ যে করে এবং যে সহায়তা করে উভয়ই সমান অপরাধী। ক্যাম্পাসে এবং শাটল ট্রেনে কিছু শ্রেণির মানুষ প্রায়ই এই দৃষ্টিকটু কাজটি করে বেড়ায়, বিশেষ করে মেয়েদের ছবি। কনসেন্ট ছাড়া এভাবে পাবলিক্যালি প্রচার-প্রসার করে বেড়ানো খুব দৃষ্টিকটু একটি বিষয়। পছন্দ হতেই পারে, অ্যাপ্রোচ করতেই পারে, এই ব্যক্তি স্বাধীনতা সবারই আছে কিন্তু নিজে অ্যানোনিমাস হয়ে অন্যের যেমন-তেমন ছবি তুলে, এভাবে হয়রানি করার অধিকার কে দিয়েছে? কমেন্ট বক্সে সচেতন ব্যক্তিবর্গ বারবার অজ্ঞদের এসব করতে মানা করেন এবং কড়াকড়ি ওয়ার্নিংও দিয়ে আসছেন, কিন্তু তারপরেও তারা শুধরে যায়নি। আবার কিছু জাহেল ভিক্টিমকে মেনশন দিয়ে রকমারি রসাত্মক কমেন্ট করে! এদের রুচির দূর্ভিক্ষ পাগলা কুকুরকেও হার মানিয়েছে! আমরা প্রশাসনের কাছে এসব সাইবার বুলিং বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে অপরাধীদের বিচারের দাবী করছি।"

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, "এই পেজগুলো ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করছে। গ্রামীণ জনপদ থেকে উঠে আসা মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগাচ্ছে৷ আমরা প্রক্টর অফিস এবং প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।"

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ