হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু, পেঁয়াজ, চাল, ভূষি, ও মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়লেও ভারতের অভ্যন্তরে জটিলতা থাকায় হিলিবন্দর দিয়ে কমছে রফতানি। ভারতের বাজারে সবজি, ঝুট কাপড়, কাঁচাকলা, মাছসহ বেশকিছু পণ্যের চাহিদা থাকলেও এ বন্দর ব্যবহার করে রফতানি করতে পারেন না হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো ও কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কোয়ারান্টাইন না থাকায় পণ্য আমদানি করতে পারছেন না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোর মতো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও ভাটা পড়েছে রফতানি খাতে। বিগত অর্থবছরগুলোতে এই বন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি হতো ঝুট কাপড়, রাইস ব্র্যান্ড ওয়েল, ওয়াটার পাম্প, চিটা গুড়। তবে এখন নামমাত্র একটি পণ্য রফতানি হচ্ছে ভারতে।
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে ব্যস্ততম স্থলবন্দর হিলি। এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নানা পণ্য আমদানি হলেও রফতানি হয় নামমাত্র কয়েকটি। তবে এই বন্দর দিয়ে রফতানির অপার সম্ভাবনা থাকলেও ভারত অভ্যন্তরে নানা জটিলতায়- তা ব্যহত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা না থাকা, কোয়ারেন্টাইন অফিস, বন্দরের ব্যবস্থাপনা না থাকা ও রাস্তা সরুসহ নানা জটিলতার কারণে ভারতে রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা গেলে যেমন বাড়বে রফতানির গতি, তেমনি বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, ভারতে এই মুহূর্তে কৃষিপণ্যের চাহিদা রয়েছে। গার্মেন্টেসের কিছু জুট কাপড়ের চাহিদা রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত সরকার অসহযোগিতার কারণে আমরা রফতানি করতে পারছি না।
ভারতের বাজারে চাহিদা রয়েছে বগুড়ার বেশ কিছু পণ্যের। যা অভ্যন্তরীণ জটিলতায় রফতানি করতে পারছেন না দেশের ব্যবসায়ীরা। যা স্বীকার করছেন খোদ এই ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতা।
ভারত হিলি সিঅ্যান্ডএফ ও এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল বলেন, আমরা অনেক কিছু নিতে চাইলেও নিতে পারি না। যেমন ভারতে কোয়ারেন্টাইন নেই। এই বন্দর দিয়ে আমরা ইলিশ নিতে পারি না, নিতে হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে নিতে হয়।
বিগত কয়েক অর্থ বছরের চিত্রে দেখা যায়, মুখ থুবড়ে পড়েছে এ বন্দরের রফতানি খাত। ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রায় ১৫ হাজার টন পণ্য রফতানি হলেও ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মাত্র ৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য রফতানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।