নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ‘মাদক সেবনে’ বাধা দেয়ায় এক ছাত্রদল নেতাকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচিহাটা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ইব্রাহিম মাসুম (২৭) একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা যুবদলের যু্গ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে স্থানীয় এক যুবক ইয়াবা সেবন করছিল। ওই সময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। তখন পাশেই ছিল ছাত্রদল নেতা মাসুম। তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদকসেবীকে মারধর করতে উদ্ধত হন। তখন একই এলাকার শিবিরের কয়েকজন লোক মুঠোফোনে কল দিয়ে মাসুমকে জানান, বিষয়টি বিকেলে তারাসহ বসে সমাধান করে দেবে। তারা যেন আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতারা আটক ছেলেটিকে ছেড়ে দেয়।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। সেখানে কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করে। এরপর সে একটি ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে যায়। পরে ওই দোকান কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আবার মাসুমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওপরে একটি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। পরবর্তীতে মাসুমের বাম পেয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলমকে পাঠিয়েছি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে ছেলেটাকে সকালে মারধর করা হয়েছে- সে জামায়াত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অনেক আগে সে ছাত্রদল করত। গত ছয় মাস আগে সে জামায়াতে যোগদান করে। এ জন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করছে- বিষয়টি জানি না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়াবার তো প্রশ্নই আসে না। মামলা সাজানোর জন্য ইয়াবার কথা আসছে।
পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।