রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ৭ পৌষ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


পটুয়াখালী উপকূলে দমকা হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

ঘূর্নিঝড় দানা'র প্রভাবে ভোর রাত থেকেই পটুয়াখালীর উপকূলে থেমে থেমে প্রচন্ড বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো বাতাস ও  বৃষ্টি থেমে যায় আবার কখন প্রচন্ড আকারে শুরু হয়।

এদিকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা ইতিমধ্যে নিরাপদে আছেন এমনটাই জানিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিওনের এসপি একে আজাদ।

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্নিঝড় 'দানা' আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীতে রাতভর গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকাল ৯ টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতাও কিছুটা বেড়েছে। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্নিঝড় দানা আজ সকল ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। দুর্বল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার,  যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় 'দানা' মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে। শুকনো খাবার, জরুরী ঔষধও প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলার ১৫৫টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও ২০টি  মুজিবকিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।

ঘূর্নিঝড় দানা মোকাবেলায় জেলায় ৮২৯ টি সাইক্লোন সেল্টার, সাড়ে ৮ হাজার সেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।

জেলা আবহাওয়া অফিসের আক্তার জাহান জানান, উপকূলে এলাকা দিয়ে বজ্রবৃষ্টি সহ ঝড়ো হাওয় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে নদনদীর পানির উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ