ডিএমএম সেলিম উদ্দীন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
‘দ্বীনি শিক্ষা না থাকলে ছেলেমেয়েরা এক দিন ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে’ বলে মন্তব্য করেছেন এশিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ডক্টর মাওলানা শহিদুল ইসলাম ফারুকী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২% মুসলমানের সন্তান মাদরাসায় পড়ে, বাকি ৯৮% স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। তারা কুরআন-হাদিস শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতে প্রতিটি মসজিদে মক্তব চালু করে দ্বীন-ধর্ম শিক্ষা দিতে হবে। নাহলে এই ছেলেমেয়েরা এক দিন ইসলাম ও কুরআন-সুন্নাহের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।
শনিবার ঝিনাইদহ শহরের কুটুম কমিউনিটি সেন্টারে ‘বর্তমান ইমাম-খতিবের দায়িত্ব-কর্তব্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান মেহমান ড. মাওলানা শহিদুল ইসলাম ফারুকী এসব কথা বলেন। ‘ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি আরো বলেন, ইমামদের সহি দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করতে হবে। সমাজের দুর্বল-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, আমি আলেম-উলামা, ইমাম-খতিবরা আমার মাথার মনি। আল্লাহ যদি আমাকে কখনোও আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দেন, তাহলে মাসিক ভাতা নির্ধারণ করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ ।
এছাড়া আরো বক্তব্য দেন- মাওলানা মুশাহিদ আলি চকমপুরী, মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা সেলিম উদ্দিন, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মেহেদী হাসান লিপিয়ার।
মুফতি মুনিরুল ইসলাম আইউবীর পরিচালনায় সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ - এর সভাপতি মাওলানা আশরাফুল আলম।
অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।