সৈয়ব আহমেদ সিয়াম,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার প্রভাব দেখা যায় কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাতে। এরকম পরিস্থিতিতে প্রায় দুই সপ্তাহজুড়ে নিরবে নিভৃতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন আলোর দিশারী বন্ধু সংঘ। এখনো তাঁদের কাজ চলমান রয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা থেকে প্রায় সাড়ে তিন শত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বন্যার্তদের পাশে এগিয়ে আসেন আলোর দিশারী বন্ধু সংঘ।তাঁরা এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ টি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার এবং এক শতাধিক মানুষের মাঝে খিচুড়ির প্যাকেট বিতরণ করেন। পাশাপাশি তাঁরা মেডিকেল ইকুয়েপমেন্ট ও কাপড় বিতরণ করেন।
আলোর দিশারী বন্ধু সংঘ রাজবাড়ী জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন,যেটি ২০২১ সাল থেকে রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন মানবিক কাজ করে আসছি। রাজবাড়ী জেলার বাহিরে এটিই ছিল তাঁদের প্রথম কাজ। দেশের প্রয়োজনে যেকোন যায়গায় কাজ করার প্রত্যাশা সংগঠনটির সদস্যদের।
আলোর দিশারী বন্ধু সংঘের সভাপতি হুসাইন মাহমুদ বলেন ,আমাদের সংগঠন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন,যেটি সবসময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত। আমরা দেশের জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এরই ধারাবাহিকতায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও উদ্ধার কাজ শেষে এখন আমরা পুনর্বাসনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সবার কাছে থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।
আলোর দিশারী বন্ধু সংঘের সিনিয়র কার্যকারী সদস্য রাব্বি খান বলেন দেশের এই সংকটকালীন সময়ে কোন বিবেকবান মানুষ বসে থাকতে পারে না, সেজন্য আমরা বন্যার কথা শুনা মাত্রই ছুটে যায় তাদের কাছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের সাধ্যমত তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
আলোর দিশারী বন্ধু সংঘ বর্তমানে বন্যার্তদের পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করছে। এবিষয়ে আপনাদের সকলের সহযোগীতা কামনা করছে তারা। দেশের প্রয়োজনে সবাইকে এভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
কেএল/