মাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ
শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের ফাঁসির দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সচেতন কওমী ছাত্র সমাজ।
শুক্রবার ১৬ আগষ্ট জুমার নামাজের পর ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদের সামনে থেকে সচেতন কওমি ছাত্র সমাজের আয়োজনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷
পরবর্তীতে সচেতন কওমী ছাত্র সমাজের সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতাও অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি শহীদি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে কালিবাড়ী মোড় হয়ে গুরুদয়াল কলেজ, আখড়াবাজার, রথখলা, গোরাঙ্গবাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদি মসজিদে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
পরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার দায়ের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানানো হয়। এই সাথে তার দোসরদেরও দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এ সময় বক্তারা আরো ঘোষণা দেন, শান্তিপ্রিয় আলেম উলামাদের এই শহরে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া চলবে না। কিশোরগঞ্জের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেতন কওমী ছাত্র ও আলেম সমাজ সদা জাগ্রত।
বক্তারা আরও বলেন— বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে কিশোরগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ ও রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিমূলক বিকৃত ইতিহাসের বই লেখা হয়েছে। যেখানে উপমহাদেশের আলেমসমাজের মাথার তাজ রাজনৈতিক গুরু আল্লামা আতহার আলী রহ.কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম জাহান, মুআ লতিফ ও ডা. ইকবাল মাহমুদ গং আলেম বিদ্বেষী আল্লামা আতহার আলী রহ. ও আল্লামা আনোয়ার শাহ রহ. কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করতে চায়। এই আধুনিক কিশোরগঞ্জের রূপকার আল্লামা আতহার আলী রহ. দাবি করে বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জে ইলেক্ট্রিসিটি, টেলিফোন, পানির লাইন স্থাপন করেছেন। যা তৎকালীন ময়মনসিংহেও ছিল না। তাঁর এই স্বচ্ছ ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন— পিলখনা হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতের উপর গণহত্যা এবং ২৪ এর ছাত্র হত্যার বিচারের দাবীতে আমরা রাজপথে নেমেছি৷৷ আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারকে ছাত্র-জনতা, আলেমা-উলামাদের আন্দোলনের মাধ্যমে পতন করিয়েছি৷ শুধু পতন করেই আমরা ঘরে বসে থাকবো না, ফ্যাসিষ্ট সরকার ও তার দোসরদের শাস্তি কার্যক্রর করেই তবে আমরা ঘরে ফিরবো৷
সমাবেশে কওমী সচেতন ছাত্র সমাজ অন্যতম সদস্য উবায়দুল্লাহ মারুফ, আশিক আশরাফ, আশরাফ আলী সোহান, বাইজিদ খান, আবরার মান্নান, মুহাম্মদ তোহা, হাসিবুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ছাত্র-জনতা অংশ গ্রহণ করে৷
হাআমা/