সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় ওই ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এ ঘটনায় রাত ও ভোরে যাতায়াতকারী উপবন ও কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৩টার দিকে লাইনচ্যুত বগি দুটি উদ্ধারের পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম।
ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দ্রুতগামী ট্রেনটির চলার মধ্যেই কয়েকটি কামরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টের পেয়ে ট্রেনের সামনের অংশ হঠাৎ গতি কমালে দুটি অংশের ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।
এ সময় আতঙ্কে ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী লাফ দিয়ে পাশের খালে গিয়ে পড়েন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী ‘পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর এলাকায় পৌঁছালে বিকট শব্দে দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল কুলাউড়া জংশন থেকে এসে ট্রেনটি উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ট্রেন দুর্ঘটনার ৯ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত বগি দুটি উদ্ধার করা হয়। এরপর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এনএ/