যশোরের ঐতিহাসিক সতিঘাটা মাদরাসার খানকাহ্ মাহমুদিয়া আশরাফুল মাদারিসের ইসলাহী ইজতেমায় যোগ দিতে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস, বিশ্ব বরেণ্য আলেম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী। তার সঙ্গে থাকবেন মুফতী মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী রহ. এর খলিফাগণ।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর) আসর থেকে শুরু হবে এই ইসলাহি মাহফিল। চলবে শনিবার (১৪ অক্টোবর) শনিবার ইশরাক পর্যন্ত।
আশরাফুল মাদারিসের মুহতামিম মাওলানা নাসীরুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে বলেন, জানা যায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দিল্লি থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে অবতরণ করে যশোর যাবেন বিকেলে। এবং শনিবার সকালে যশোর থেকে ঢাকায় আসবেন। এরপর শনিবার সকাল দশটার দিকে খিলক্ষেত মাসনা-মাদ্রাসায় এক ঘন্টার প্রোগ্রামে শরিক হবেন এবং দুপুরে দিল্লির উদ্দেশ্যে চলে যাবেন।
আল্লামা আবুল কাসেম নোমানীর বয়ানের সিডিউল বিষয়ে তিনি জানান, প্রোগ্রাম শুরু হয়ে যাবে বৃহস্পতিবার আসরের পর থেকেই। হুজুরের বয়ানের সিডিউল তিনি আসার পর মশওয়ারার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। তবে আমরা ধারণা করছি তিনি বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর, শুক্রবার জুমার আগে বয়ান করবেন, জুমার নামাজের ইমামতি করবেন, শুক্রবার মাগরিবের পর এবং শনিবার বাদ ফজর বয়ান শেষে মোনাজাত করে ইসলাহি মাহফিল সমাপ্ত করবেন।
তিনি জানান, দেশ-বিদেশের আলেমদের মাঝে উপস্থিত থাকবেন, দেওবন্দ মাদরাসার আহলে শূরা মাওলানা হাসান মাহমুদ রাজস্থানী, দেওবন্দের উস্তাদ মাওলানা শাহ আলম, হাটহাজারীর মুহতামিম মাওলানা খলিল আহমাদ কাসেমী, পটিয়া মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামজা, বসুন্ধরা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আরশাদ রাহমানী, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মানিকনগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি কিফায়েতুল্লাহ, পটিয়া মাদরাসার মাওলানা আবু তাহের নদভী, ময়মনসিংহের মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, ভোলা উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আনাস, সিলেটের মাওলানা শফিকুর রহমান, কুমিল্লার মাওলানা মোস্তফা মাহমুদী প্রমূখ।
মাওলানা নাসীরুল্লাহ জানান, প্রতীক্ষিত এই আয়োজনের জন্য এ পর্যন্ত ত্রিশ হাজার দাওয়াতি চিঠি দেওয়া হয়েছে দেশের ৬৪ জেলায়। এছাড়া বিশ হাজার দাওয়াতি ফোন দেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি জানান, আমাদের মসজিদ মাদরাসার বিল্ডিংয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠে বড় প্যান্ডেল লাগানো হয়েছে। আশপাশে নিকটতম একটি মাদরাসা ও ৫টি মসজিদে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া ইসলাহী মজলিসে ওলামায়ে কেরামসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান মাওলানা নাসীরুল্লাহ।
কেএল/