|| হাসান আল মাহমুদ ||
দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমের আধিক্যে হিট স্ট্রোকে মরছে মানুষ প্রতিদিন। বন্ধ থাকছে স্কুলও। হাঁসফাঁস করা অতীষ্ঠ জনজীবনে বৃষ্টির প্রয়োজন দেখা দিলেও বৃষ্টি চাচ্ছে না দেশের কৃষকসমাজ।
তাদের মতে এ মুহূর্তে বৃষ্টি এলে তাদের বহুত ক্ষতি হবে। আপাতত এখন বৃষ্টি না হলে ভালো- তাদের মতে।
সারাদেশে আওয়ার ইসলামের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে এমনটাই জানা গেছে।
যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলা সুখপুকুরিয়া গ্রামের মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে আওয়ার ইসলাম প্রতিনিধি শাকিল আদনান জানান, ‘আমি আমার গ্রামের ধান ক্ষেতে কাজরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। কৃষক হাবিবুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি হলে ক্ষতি হবে। এ কয়েকদিন রোদ থাকলে ধানগুলো কেটে মাড়া দিয়ে শুকানো যাবে’।
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি রজীবুল হক জানান, চার মাস ধরে আমাদের গ্রামের কৃষকরা বোরো ধান রোপন করেছে, পরিচর্যা করেছে। এখন ফসল কাটার সময়। ফসল কাটছে তারা এখন। তারপর ধানগুলো মাড়ানো শেষে শুকাবে। এ মুহূর্তে বৃষ্টি হলে তাদের জন্য সমূহ ক্ষতির আশংকা হবে বলে কৃষকদের বক্তব্য।
সিলেট জেলা প্রতিনিধি হাবিব কায়সার জানান, ‘কয়েক দিন এভাবে খরা থাক, তারপর আল্লাহ চাইলে বৃষ্টি দিলে ভালো হবে’ বলে মতামত দেন আমাদের এ অঞ্চলের কৃষকরা।
এছাড়া দেশের নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও টাঙ্গুয়ার হাওরবাসীদেরও একই মতামত বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে।
আরও জানা যায়, ‘তীব্র রোদ ও তাপপ্রবাহকে সঙ্গী করেই সকাল থেকে সন্ধ্যা-কৃষক ব্যস্ত বোরো ধান কাটতে, মাড়াই করতে। মাড়াই শেষে নতুন ধান গোলায় তুলবে। এখনও অনেক ক্ষেতে ধান রয়েছে। আর কয়েকটি দিন গেলে সব ধান কৃষকের গোলায় উঠবে।
এদিকে দেশের অন্যতম শীর্ষ মুফতি শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ এক সাক্ষাৎকারে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই তীব্র গরমে আমাদের সবার কাজ হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করা। দোয়া করলেই যে আল্লাহ বৃষ্টি দিবেন বিষয়টা এমন নয়। আল্লাহ বান্দার মঙ্গল চান, তাই যখন চান, তখনিই বৃষ্টি হয়। আল্লাহ যদি বৃষ্টি নাও দেন, বুঝতে হবে এতেই আমাদের কল্যাণ রয়েছে’।
হাআমা/