শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫


সিলেবাসে মানতিক: মাওলানা আব্দুল গাফফার-এর মতামত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| হাসান আল মাহমুদ ||

কাফিয়া জামাতকে বোর্ড পরীক্ষার অন্তর্ভূক্ত করেছে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক।  বেফাকের ৪৮তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা (১৪৪৬ হি.) হতে অন্যান্য ক্লাসের সাথে সানাবিয়্যাহ-২ (কাফিয়া) জামাতের পরীক্ষাও কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে’।

বেফাক জানিয়েছে, আলোচনা-পর্যালোচনার পর বিগত ২৮/০৭/১৪৪৫ হি. মোতাবেক ১০/০২/২০২৪ ঈ. তারিখে অনুষ্ঠিত মজলিসে খাসে আগামী বছর ১৪৪৬ হি. হতে সানাবিয়্যাহ-২ (কাফিয়া- দশম শ্রেণি সমমান) জামাতের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়’।

বেফাকের এমন সিদ্ধন্ত নিয়ে আওয়ার ইসলাম ইতোপূর্বে দেশের শিক্ষাবিদ আলেম, মুহতামিমদের মতামত সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন লিংক-১কাফিয়া জামাতে বোর্ড পরীক্ষা, কী বলছেন মুহতামিমগণ

প্রতিবেদন লিংক-২ : কাফিয়া জামাতের সিলেবাস নিয়ে তরুণ আলেমদের ১৫ প্রস্তাবনা

এদিকে কওমি মাদরাসার নতুন শিক্ষাবর্ষ হচ্ছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আর কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে নতুন শিক্ষা বর্ষের পথচলা। কিন্তু ‘কাফিয়া জামাতের বোর্ড পরীক্ষা ও সিলেবাস’ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষের আলোচনা থেমে নেই।

সম্প্রতি কাফিয়া জামাতের বোর্ড পরীক্ষা, মানতিক নিয়ে রাজধানীর  জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকা-এর নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুল গাফফার এই ইস্যুতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঝড় তুললেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে মনটা বিষাদগ্রস্ত হয়ে আছে বহুদিন যাবত। সেই সঙ্গে যুক্ত হল বেফাকের সাম্প্রতিক একটি সার্কুলার। "কাফিয়া জামাতের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে হবে।"

‘সরকারকে দেখাতে হবে,  আমাদের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি বিন্যাস স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই। কাজেই যেনতেনভাবে শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে।  অপরিকল্পিতভাবে পাঠ্যসূচি প্রণয়ণ  করা হচ্ছে। কথা নাই বার্তা নাই, হুটহাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে যে,  মজলিসে খাসের সিদ্ধান্ত। কওমী শিক্ষা ব্যবস্থাকে করে তোলা হচ্ছে পশ্চাদগামী’। -যুক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘মানতেক পড়তে হবে।  তা না হলে নাকি বড় আলেম হওয়া যাবে না। মানতেক না পড়লে নাকি কুরআন হাদীস ভালভাবে বুঝা যায় না। বেশ কয়েক বছর পূর্বে একজন বলেছিল মানতেক না পড়লে নাকি ফাতহুল বারি কিতাবটা হল্ল করা যায় না।

‘কোন সিদ্ধান্ত কেন গ্রহণ করা হচ্ছে তা জানাটা ছিল সকলের অধিকার। অপরিণামদর্শী এসব সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য ভাল কোন ফল বয়ে আনবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায়’। -মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় তিনি বিশেষ দ্রষ্টব্যে উল্লেখ করেন, ‘তাইসীরুল মানতিক, মিরকাত, শরহে তাহযীব,  কুতবী ও সুল্লামুল উলূম ইত্যাদি কিতাবগুলো বান্দাহ যথারীতি উস্তাদের দরসে বসে পাঠ করেছে’।

বেফাকের সেই ঘোষণার খবর: আগামি বছর হতে কাফিয়া জামাতে কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ঘোষণা বেফাকের

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ