|| আমানুল্লাহ নাবিল মামদুহ ||
তরুণদের আলেমদের উদ্দেশে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ আলেম, তেজগাঁও রেলওয়ে মাদরাসার শাইখুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, ‘চাকরির প্রতি আগ্রহী না হয়ে নিজে কিছু করার মানসিকতা তৈরি করুন। মনে রাখবেন- চাকরি করলে দ্বীনের কাজে ব্যত্যয় ঘটতে পারে। চাকরি হলো গোলামির জীবন। তাই নিজে উদ্যোগী হওয়ার মানসিকতা তৈরি করুন’।
আলেম উদ্যোক্তা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলেও মনে করছেন তিনি।
আওয়ার ইসলামের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তরুণ আলেমদের কর্মসংস্থান বিস্তৃত করার উপায় প্রসঙ্গে তিনি এসব বলেন।
‘আম্বিয়ায়ে কেরাম (আলাইহিস সালাম) দ্বীনের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকতেন আয়ের জন্য। যেমন হজরত নূহ আ. কাঠের কাজ করতেন, হজরত দাউদ আ. লোহার মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতেন। যেটাকে আমরা বর্তমানে কামারের কাজ বলে থাকি। সাহাবায়ে কেরামও নানান পেশায় যুক্ত ছিলেন। হজরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কাপড়ের ব্যবসা করতেন, হজরত ওমর ফারুক রা. পশু চড়াতেন, হজরত উসমান রা. বড় ধরণের ব্যবসা করতেন, হজরত আলী রা. পরিশ্রম করে আয় রোজগারের ব্যবস্থা করতেন’। -যুক্ত করেন তিনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক এই কওমি আলেম বলেন, ‘সুতরাং আমরা যেকোন হালাল পেশায় যুক্ত হতে পারি। সেটা ছোট হোক বা বড় হোক। আরেকটা বিষয় হলো কাজ কখনো ছোট হয় না। মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে সকল কাজই একসময় গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় পশু প্রতিপালনকে ছোট করে দেখা হতো। এখন এটা শব্দের পরিবর্তন হয়ে খামারে রূপ নিয়েছে। তাই সবাই এখন এটাকে সম্মানের সাথে দেখে। এরকমভাবে প্রতিটি কাজই যখন ভালোভাবে করা হয় তখন সেটার মূল্য অনেক বেড়ে যায়। সম্মানজনক পেশা হয়ে উঠে’।
এসময় তিনি বিভিন্ন পেশায় জড়াতে গিয়ে তরুণ আলেমদের নিজেদের আত্মপরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো- বিভিন্ন পেশায় জড়াতে গিয়ে নিজেদের আত্মপরিচয় ভুলে যাওয়া যাবে না। আমাদের মাকসাদ যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা জরুরি’।
হাআমা/