|| নাবহান মামদুহ ||
দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সদ্ব্যবহারের পদ্ধতি হতে পারে; আমাদের দেশের স্কুলগুলোর ধর্মীয় শিক্ষকের পদ ও কলেজ ভার্সিটিগুলোর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া আলেমরা যেন এপ্লাই করতে পারেন এ বিষয়ে সরকারের সাথে বোঝাপড়া করাও হাইয়াতুল উলিয়ার অন্যতম দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আলেম সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ লেখক মাওলানা লিয়াকত আলী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আওয়ার ইসলামের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তরুণ আলেমদের কর্মসংস্থান বিস্তৃত করার উপায় প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুদ্ধিজীবি এই বলেন, ‘সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আলিয়া মাদরাসা, স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষকের পদ ও ভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কওমি পড়ুয়ারা সুযোগ পেলে -এর মাধ্যমে তাদের বিকল্প পেশার দ্বার আরও উন্মোচিত হবে। এসবের বাইরেও ওলামায়ে কেরামের বিকল্প ও ভিন্ন পেশার বিস্তৃতি বাড়াতে চাইলে সিলেবাসের ব্যাপক সংস্কার ছাড়া তা সম্ভব নয়।
আমাদের কওমি মাদরাসায় মূলত তাত্ত্বিক দিকগুলো নিয়ে পড়াশোনা করানো হয়; আমাদের সিলেবাসে (কমার্স-সাইন্স)-এর ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক দিকটি নেই।– যুক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আলেমদের কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র হলো মসজিদ-মাদরাসা। অধিকাংশ মাদরাসা ও মসজিদে কোন জনবল কাঠামো, নিয়োগ, বদলি, পদায়ন-পদোন্নতি, বেতন কাঠামো, অবসর, অবসর সুবিধা এসমস্ত কোন নিয়ম-নীতি নেই অর্থাৎ বলা যেতে পারে অধিকাংশ মাদরাসায় কোনো চাকুরিবিধি নেই।
তিনি বলেন, ‘মসজিদগুলোতে সম্ভব না হলেও হাইয়াতুল উলইয়া চাইলে মাদরাসাগুলোতে চাকুরির নিশ্চয়তা, নিরাপত্তা ও অবসর বিধি বিষয়ে দেশের সব মাদরাসার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও বাধ্যতামূলক করে দিতে পারে। আলেমদের কর্মসংস্থানের নিশ্চিয়তার জন্য এটা জরুরিও বটে’।
হাআমা/