শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


পটিয়া মাদরাসায় আল্লামা বাবুনগরী ও হাটহাজারীর মুহতামিম


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

|| কাউসার লাবীব ||

চলমান অস্থিরতা স্বাভাবিক করতে দেশের পটিয়া মাদরাসায় এসেছেন বাবুনগর মাদরাসার মুহতামিম ও প্রবীণ আলেম আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও হাটহাজারী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি খলিল আহমাদ কাসেমী।

সূত্র বলছে, আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) বাদ আসর আল্লামা বাবুনগরী এবং মাগরিবের পর মুফতি খলিল আহমাদ জামিয়া পটিয়ায় আসেন। তাদের দুজনের কেউই পটিয়া মাদরাসার শুরা সদস্য নন। তবে মুরব্বী এই দুই আলেমের হস্তক্ষেপে পরিবেশ স্বাভাবিক হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। 

এদিকে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে পটিয়া মাদরাসায় শুরু হয় অস্থিরতা। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে বর্তমান মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।

তবে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা স্বাক্ষরিত একটি ইস্তফাপত্র শ্যোসাল মিডিয়ায় দেখা যায়। যেখানে লেখা আছে, পটিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও ছা্ত্রসহ সবাই আমার বিগত কর্মজীবনের ও মাদরাসার উসুলে হাস্তেগানার বিরুদ্ধে কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত ও বর্তমানের কথা মাথায় রেখে চলমান পরিস্থিতি নিরসের জন্য আমি স্বজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে মজলিসে এলমির সদস্য ও মুরব্বিদের উপস্থিতিতে সকল দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নামায় স্বাক্ষর করলাম। এবং মুহতামিমের পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।

এদিকে এই ইস্তফাপত্র মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র। 

অপরদিকে, রাতের অস্থিরতার পর সকালে মাদরাসা মাঠে ছাত্রদের জমায়েতে প্রতিষ্ঠানের সদরুল মুদাররিসিন মুফতি আহমাদুল্লাহকে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে তিনি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযার ইস্তফার কথাটি উল্লেখ করেন। এছাড়া আজ রোবাবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও বলা হয় ওই জমায়েতে। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর আওয়ার ইসলামের কাছে আসেনি।

এর আগে, ১৭ অক্টোবর নানা জটিলতার পর শুরা বৈঠকের দাবিতে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন জামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিস ও সদরুল মুদাররেসিন আল্লামা হাফেজ মুফতি আহমাদুল্লাহ, নায়েবে মুহতামিম ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবু তাহের নদভী, সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা একরাম হোসাইন, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল জলিল কাওকাব।

তখন উদ্ভুত ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী ২ নভেম্বর ২০২৩ শুরা বৈঠকের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করে জামিয়া পটিয়া কর্তৃপক্ষ। শুরার চুড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করায় ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত  প্রত্যাহার করেন তারা। এরপর থেকে সবাই ২ তারিখের শুরার জন্য অপেক্ষা করছিলো। ক্লাসসহ সবকিছুই চলছিল স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে গত রাতে এই অস্থিরতা তৈরি হয় তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ