রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ।। ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ ।। ২৪ জিলহজ ১৪৪৫


এবার হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন যারা, শুনবেন যেভাবে 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পবিত্র হজের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফা প্রাঙ্গণে সমবেত হন হাজিরা। সেদিন মসজিদে নামিরা থেকে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে আরবিতে খুতবা দেওয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদও করা হয় ঐ খুতবা। এ বছর বাংলাসহ প্রথমবারের মতো ৫০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

এ বছর  হজের মূল খুতবা আরবিতে প্রদান করবেন মসজিদুল হারামে ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের বিন হামাদ আল মুয়াইকিলি। তার প্রদত্ত সেই খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত ৪ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তারা দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

তারা হলেন— মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুস সাকিব। গত বছরও খুতবার অনুবাদ করেছিলেন এই ৪ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী।

ড. খলীলুর রহমান গত বছর উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়। সৌদি আরবে যাওয়ার আগে ১ বছর তিনি নওগাঁ কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস ছিলেন।

তিনি জানান, ২০২৩ সালে অনুবাদ প্রকল্প সম্প্রসারণ হলে এতে সপ্তাহিক জুমার খুতবা যুক্ত হয়। জুমার পাশাপাশি ঈদ, হজ, ইস্তিসকা, বিভিন্ন দরস, বই-পুস্তক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হারামাইনের বিভিন্ন পোস্টের অনুবাদ কার্যক্রম শুরু হয়।

মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কীর মাধ্যমে ২০২০ সালে হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ শুরু হয়। তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবা অনুবাদ করে থাকেন। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার রামুতে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন হাজিদের সবাই আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। সেদিন ২০ লাখেরও বেশি হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। বিশ্বের ৩০ কোটির বেশি মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী পৌঁছে দিতে ৫০টি ভাষায় খুতবা সম্প্রচার করা হবে।

গত ১৪৩৬ হিজরি মোতাবেক ২০১৫ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫টি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্প যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ করা হয়। ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় এবং ২০২৩ সালে ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

যেকোনো ডিভাইস থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি ভাষা নির্বাচন করলে খুতবার অনুবাদ শোনা যাবে। একইসঙ্গে মানারাতুল হারামাইন মোবাইল অ্যাপ, আল-কোরআন চ্যানেল, আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে তা শোনা যাবে। ওয়েবসাইটে বিগত বছরের খুতবা ও এর অনুবাদও পাওয়া যাবে। 

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ