আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর-জিডিপির অনুপাত ০.৫ শতাংশ বাড়াতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। এ জন্য করব্যবস্থা সংস্কার, কর অব্যাহতি হ্রাস ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর রূপরেখা জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর বলেছে, প্রতি বাজেটে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, আগামী বাজেটেও সে ধারা থাকবে। সুনির্দিষ্ট পরামর্শ থাকলে আইএমএফ এনবিআরকে লিখিত আকারে জানাতে পারে। সেগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। শুল্কছাড় যৌক্তিককরণ, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বিষয়গুলো আগামী বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তুলে ধরবেন।
গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস বিভাগের সঙ্গে পৃথক তিনটি বৈঠক এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য ড. সামসউদ্দিন আহমেদ, মূসক নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও কাস্টমস নীতির সদস্য মাসুদ সাদিকসহ সংস্থাটির প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র জানায়, আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক উইং পৃথকভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বিদ্যমান পদক্ষেপগুলো আইএমএফকে অবহিত করেছে। তাদের বেশির ভাগ আলোচনাই ছিল তাত্ত্বিক। আগামী বছর কী পরিমাণ কর অব্যাহতি হতে পারে তার পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কারণ এগুলো বাজেটের গোপনীতার অংশ। এ ছাড়া ভ্যাট বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি), অটোমেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে, ভ্যাটে আদায় বাড়াতে এনবিআর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্রবৃদ্ধিও ঊর্ধ্বমুখী। আর অটোমেশনের কাজও দ্রুততার সঙ্গেই এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।