এম শাহরিয়ার তাজ
খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে। খুলনায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি প্রার্থীরা। ভোটের হাওয়া,কারা হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী তবে নতুন,পুরাতন ভোটাররা এইবার নতুন কাউন্সিলার বানাবেন বলে জানিয়েছে।
খুলনায় সিটি করপোরেশন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে,নতুন ভোটাররা কিছু নতুন কাউন্সিলার পদে নগরীর ৪নং ওয়ার্ড, ৫নং ওয়ার্ড, ৬নং ওয়ার্ডে নতুন কাউন্সিলর দেখতে চায় ভোটাররা।
এদিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে থেকেই খুলনায় বেশ কয়েকজন মেয়রপ্রার্থী সরব হয় উঠেছেন। নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে। তবে মেয়র পদে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতার পক্ষে প্রার্থীতার কথা শোনা যায়নি।
এছাড়া সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী প্রার্থীরাও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে পোস্টার ছাপিয়ে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এবারের (কেসিসি) মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন,খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বারবার নির্বাচিত বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল,সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা আবদুল গফফার বিশ্বাস, জাপা জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু,বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, সাবেক জাপা নেতা এস এম মুশফিকুর রহমান, আগুয়ান-৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী।
নির্বাচনের প্রসঙ্গে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা যা বলছেন,মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন,অনেক আগে থেকেই আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এমনকি আমার দলও নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে আমি মডেল খুলনা গড়ার জন্য কাজ করছি।
এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন,খুলনা সিটিকে উন্নয়নের মডেল করব যদি নির্বাচিত হতে পরি। খুলনাকে এগিয়ে নিতে চাই। ২০২৩ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি আবারও মেয়র পদে প্রার্থী হতে চাই। এবার দলের দাসত্ব বর্জন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাই।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ১৫ মে সর্বশেষ কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। খুলনায় ভোটারদের বাড়িবাড়ি প্রার্থীরা ভোটের হাওয়া, থাকলে কাউন্সিলার প্রার্থীরা রাতদিন ব্যাস্ত সময় পার করছে ভোটেদের বাড়ি বাড়ি। বর্তমান খুলনা মহানগীতে ভোটের হাওয়া বয়তে শুরু করেছে নগর জুড়ে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩ এপ্রিল) ১৭তম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ নির্বাচিন তারিখ ঘোষণা করেন। তফসিলে খুলনা সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোট ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
-একে