মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
সাইয়েদ আহমাদ শহিদ রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার ঘটনা। বর্ণনা করেন সাইয়েদ আব্দুর রহমান রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা। তিনি বলেন, হজরত তখন হজের সফর থেকে ফিরছেন। পথিমধ্যে মৌলবি সাইয়েদ কারামত আলি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার পক্ষ থেকে চিঠি আসলো। আমাকে চিঠি পড়ার জন্য তিনি আদেশ করেন। হজরতের শানে বিভিন্ন উপাধি লেখার পর তিনি লেখেন, ‘হজরতের লিখিত চিঠির মর্যাদা আসমান থেকে ওহি আসার মতো।’
এখানে আসতেই হজরত আমার কাছ থেকে চিঠি টেনে নিয়ে ছেড়ে টুকরো টুকরো করে দেন। চিঠিতে এমন কথা লেখার কারণে হজরত অনেক কষ্ট পান। রাগের চিহৃ হজরতের চেহারাতে ভেসে ওঠছিলো।
একজন বললো, হজরত! চিঠির বিষয়বস্তু শোনে নেওয়া হলে ভালো হতো না? তাহলে চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা হয়ে যেতো।
উত্তরে তিনি বললেন, ‘যে চিঠির শিরোনামই হলো আল্লাহ তায়ালার শানে বেয়াদবিমূলক সেই চিঠির বিষয়বস্তু জেনে কী করবো? তা জেনে লাভই বা কী? সে উক্ত কথার দ্বারা তো নিজেকে নবির স্থানে নিয়ে অবস্থান করিয়েছে আর আমাকে তো (আল্লাহ তায়ালার পানাহ) আল্লাহ—ই বানিয়ে দিয়েছে। [সূত্র: নমুনে কে ইনসান: পৃ. ৯৯]
-এটি