আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাহে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত বিরাট কল্যাণ, রহমত ও বরকতের বাহক। তাই আল্লাহর দরবারে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে নিজের দুই হাত অবশ্যই সম্প্রসারণ করা উচিত। বেশি বেশি করে দোয়া, ক্ষমা প্রার্থনা, তওবা, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ, তাসবিহ, তাহলিল প্রভৃতি জিকিরের মাধ্যমে দিন অতিক্রম করা অত্যন্ত জরুরি।
জিকির মানে হলো আল্লাহকে স্মরণ করা। যেকোনো ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহকে স্মরণ করাই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুতরাং আমার ইবাদত করো এবং আমার স্মরণার্থে নামাজ কায়েম করো’। (সুরা তাহা, আয়াত : ১৪)। উল্লিখিত আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, বান্দার ইবাদতের উদ্দেশ্য হলো, মহান আল্লাহকে স্মরণ করা। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য ও মাগফিরাত অর্জন করা যায়।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারী, তাদের জন্য আল্লাহ মাগফিরাত ও মহান প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৩৫)
নবী করিম সা. বলেছেন, ‘প্রতিটি জিনিসের মরিচা পরিষ্কার করার যন্ত্র আছে আর অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করার যন্ত্র হলো আল্লাহর জিকির। (বায়হাকি)
রাসুল সা. বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কি তোমাদের অধিক উত্তম কাজ প্রসঙ্গে জানাব না, যা তোমাদের মনিবের কাছে সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানের দিক থেকে সবচেয়ে উঁচু, স্বর্ণ ও রৌপ্য দান-খয়রাত করার চেয়েও বেশি ভালো এবং তোমাদের শত্রুর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদের তোমাদের সংহার করা ও তোমাদের তাদের সংহার করার চাইতেও ভালো? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ।
তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলার জিকির। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)১ বলেন, আল্লাহ তাআলার শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার জিকিরের তুলনায় অগ্রগণ্য কোনো জিনিস নেই। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৭)
-এসআর