আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ)। এবছরের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় তিনবার বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (১৬ মার্চ) পর আর নিবন্ধন করা যাবে না বলে গত ৭ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে উক্ত ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয়, যা ২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় পরে সময় আরও ৫ দিন বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও নিবন্ধন সংখ্যা কম থাকায় দ্বিতীয় দফায় শেষ সময় বাড়িয়ে ৭ মার্চ করা হয়। তৃতীয় ও শেষ দফায় সময় বাড়িয়ে ১৬ মার্চ করা হয়।
২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা।
অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এরসঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ।
বিগতে বছরের চেয়ে এবার হজের খরচ বেড়েছে। অতিরিক্ত খরচের কারণে এবার হজযাত্রী নিবন্ধনে আগ্রহ কম প্রাক-নিবন্ধিতদের।