এদেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণী দীন পালনে পারিবারিক সাপোর্ট তো পাচ্ছেই না, উল্টো ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হচ্ছে। কোনো যুবক হয়তো হ্যান্ডসাম বেতনের হারাম পেশা উপেক্ষা করে স্বল্প আয়ের হালাল পেশা বেছে নিতে যাচ্ছে, তখন পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের দিক থেকে ছুটে আসছে বিদ্রূপের তির।
কোনো তরুণী হয়তো স্মার্ট বেতনের হারাম উপার্জনকারী পাত্র উপেক্ষা করে নির্বাচন করতে যাচ্ছে স্বল্প আয়ের দীনদার পাত্র, তখনো বিদ্রূপের চাবুক নিয়ে মেয়েটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে স্বজনেরা।
এই ছেলে-মেয়েগুলো হয়তো দু বছর আগেও দীনের ব্যাপারে উদাসীন ছিল। স্বজনেরা ওই উদাসীন সময়ের খোঁটা দিয়ে বলে, আগে কেমন ছিলি, জানি তো! এখন বিরাট হুজুর হয়ে গেছিস। এত হুজুরগিরি দিয়ে সমাজ চলে না!
গতকাল যারা দীনের ব্যাপারে উদাসীন ছিল, সেই অপরাধে আজ তাদের দীন পালনের আগ্রহকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না। এটা যুক্তিবিবর্জিত আচরণ।
যাদের ঘরে এমন সন্তান আছে, আমি সেই বাবা-মার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, প্লিজ, আর যা-ই করুন, সন্তানদের সাথে এই আচরণটা করবেন না।
আপনারা এমন সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে হয়তো দোয়াও কখনো করেননি। তারপরও আপন করুণায় আপনাদের ঘরে এমন সন্তান আল্লাহ দান করেছেন। এটা আপনাদের ওপর আল্লাহর অপার দয়া।
এরা সন্তানই শুধু নয়, এরা আপনাদের উভয়জাহানের সম্পদ। এই সম্পদের যত্ন নিন, বুকে আগলে রাখুন। এদের বুকের ভেতর তড়পাতে থাকা অব্যক্ত ভাষার পাণ্ডুলিপি পড়ার চেষ্টা করুন।
প্রিয় অভিভাবক, আপনারা হয়তো সালাত আদায় করেন, সামনের রমাদানে সিয়াম পালন করবেন। কিন্তু শুধু সালাত-সিয়ামের নামই ইসলাম নয়। ইসলাম সামগ্রিক জীবনব্যবস্থার নাম। সন্তানের সামগ্রিক দীন পালনের চেতনাকে আপনারা আহত করতে পারেন না।
না বুঝে আজ যাদের দীনি আবেগকে রক্তাক্ত করছেন, হতে পারে এদের অশ্রুসিক্ত দোয়াই আপনার পরকালীন মুক্তির সোপান হবে।
সূত্র: শায়েখ আহমাদুল্লাহর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ
-এটি