আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুদীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবার ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। পবিত্র কোরআনের সুরলিত তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের কাছে বেশ পরিচিত এ ইমাম।
পবিত্র কাবার ইমাম হিসেবে ৪০ বছর পূর্ণ করেছেন শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস। ১৪৪৪ হিজরির ২২ শাবান কাবার ইমাম হিসেবে ৪০ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। মসজিদুল হারামে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার সময় তিনিই সবচেয়ে কম বয়সী ইমাম হিসেবে সর্বপ্রথম আসর নামাজ পড়ানোর সুযোগ লাভ করেন।
শায়খ সুদাইস মাত্র ২২ বয়সে ১৪০৪ হিজরি মোতাবেক ১৯৮৪ সালের মে মাসে মসজিদুল হারামের খতিব ও ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে প্রধান ইমাম হোন তিনি। সৌদি আরবের সাবেক বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের এক রাজকীয় নির্দেশনায় তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০১২ সাল মোতাবেক ১৪৩৩ হিজরিতে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। পবিত্র দুই মসজিদ পরিচালনা পরিষদের প্রধান হিসেবে ২০১৪ সালে তিনি মসজিদে নববিতে প্রথম বার ইমামতি করেন। ২০২০ সালে মসজিদুল হারামে তাঁর ইমামতিতে তারাবির নামাজে কোরআন খতমের ৩০তম বছর পূর্ণ হয়। কোরআন খতম উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো তখনও সুন্দর কণ্ঠে দীর্ঘ সময় দোয়া করেন।
শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস ১৩৭৯ হিজরি মোতাবেক ১৯৬০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের কাসিম অঞ্চলের বুকাইরায় জন্মগ্রহণ করেন। বনু আসাদ বিন রবিয়াহ বিন নাজার গোত্রের আনজা শাখার সন্তান তিনি। তাঁর বাবার নাম আবদুল আজিজ ও মায়ের নাম ফাহদা রউফ। কাসিমে বেড়ে উঠলেও পরবর্তীতে রিয়াদে পাড়ি জমান তিনি। শৈশব থেকেই উত্তম আচার-ব্যবহারের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি।
শায়খ আল-সুদাইস বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় মাত্র ১২ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। এরপর রিয়াদের মুসান্না বিন হারেসা ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মাহাদ আল-রিয়াদ আল-ইলমি থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ১৯৮৭ সালে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুল ফিকাহ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৯৫ সালে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরা ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।
-এসআর