মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
হজরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা। ইন্ডিয়ার গাঙ্গুহ শহরের অধিবাসী ছিলেন। হজরত থানবি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলতেন, ‘তিনি চিশতিয়া তরিকার অনেক বড়ো আল্লাহওয়ালা বুজুর্গ ছিলেন। তাঁর কোনো লিখনী শরিয়তের অনুসরণ-অনুকরণ ও তাকিদ থেকে মুক্ত নয়। যা কিছুই লেখেছেন সেখানে শরিয়তের অনুসরণ-অনুকরণ ও শরিয়তের আদেশ-নিষেধের যথাযথ পালনের প্রতি পরিপূর্ণ তাকিদ ছিলো। সুন্নত অনুসরণ-অনুকরণেও তিনি ছিলেন অনন্য। অগ্রজ।
একবারের ঘটনা, ‘হজরতের সামনে একজন আল্লাহওয়ালা বুজুর্গের আলোচনা হচ্ছিলো। যিনি শূন্যে উড়েউড়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারতেন। তখন ওই বুজুর্গের সাথে সাক্ষাত করার আগ্রহ হজরতের মধ্যে তীব্রভাবে দেখা দেয়।
তিনি তাঁর সান্নিধ্যে চলে যান। তখন ওই বুজুর্গ মাত্রই ইবাদতখানা থেকে বের হয়ে কোথাও চলে গিয়েছিলেন। তাঁকে না পেয়ে তাঁর ইবাদতখানা দেখার জন্য তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন।
গিয়ে দেখেন ওই বুজুর্গের রুকু-সেজদার স্থানে হাত-পায়ের আঙ্গুলগুলোর ছাপ পড়ে আছে। কিন্তু ছাপের দ্বারা বুঝা যায়, তিনি সুন্নত তরিকায় রুকু-সেজদা করেননি। তখন তিনি মন্তব্য করেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্নতের খেলাফ কাজ করে সে আবার কেমন বুজুর্গ? কোথাও উড়েউড়ে যাওয়া এটি মানুষের আহামরি কোনো কিছু অর্জন করে ফেলা নয়।’
এই বলে তিনি ওই বুজুর্গের সাথে দেখা না করেই ফিরে আসেন।
সূত্র: তাজকিরায়ে আকাবিরে গাঙ্গুহ: খ. ১, পৃ. ১৫৩
-এটি