আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নেপালের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের জেষ্ঠ্য নেতা রাম চন্দ্র পাওদেল দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নেপালের পার্লামেন্টের বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল- ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র নেমবাংকে ১৮ হাজার ২৮৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি।
রাজধানী কাটমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় অবস্থিত নেপালের পার্লামেন্ট ভকনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ, চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। তারপর ভোট গণনা শেষে রাম চন্দ্র পাওদেলকে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন কেবল দেশটির কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যরা। দেশটির কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের সদস্যসংখ্যা ৩১৩ জন এবং ৭টি প্রদেশের আইনসভাগুলোর সম্মিলিত সদস্যসংখ্যা ৫১৮ জন।
দেশটির সংবিধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ৫২ হাজার ৭৮৬টি ভোট বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি ভোটকে ধরা হয় ৭৯টি ভোট এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের এক একটি ভোটের মান ৪৮টি ভোটের সমান।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবনে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের জন্য দু’টি পৃথক বুথ করা হয়েছিল। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাম চন্দ্র পাওদেল পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮০২ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুভাষ চন্দ্র নেবাং পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫১৮টি ভোট।
সেই অনুযায়ী, মোট ৫২ হাজার ৭৮৬টি ভোটের মধ্যে গণনা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৩২০টি ভোট, বাকি ৩ হাজার ৪৬৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
নেপালের কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও আইনসভাগুলোতে বর্তমানে ৯টি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের পাশাপাশি উলেখযোগ্যসংখ্যক স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতাও রয়েছেন। নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে সিপিএন-ইউএমএল ও রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি (আরপিপি) ব্যতীত সব দলীয় আইনপ্রণেতা রাম চন্দ্র পাওদেলকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, নিজ দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন পেয়েছেন সুভাষ চন্দ্র নেবাং। আরপিপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে বলে জানা গেছে।
-এটি