আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইতালির সরকার ২০২৩ সালে ৮২ হাজার ৭০৫ জন কর্মী নিতে একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লুসি ডিক্রির আওতায় আগামী ২৭ মার্চ থেকে ইতালির ওয়ার্ক ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে যার আবেদন আগে দাখিল হবে তার আবেদন আগে বিবেচনা করা হবে।
ফ্লুসি ডিক্রির ২০২২ এর আওতায় সিজনাল ভিসায় ৪৪ হাজার কর্মী এবং নন সিজনাল ভিসায় ৩৮ হাজার ৭০৫ জন কর্মী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতালীয় নিয়োগকারী এবং আগ্রহী কর্মীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে দূতাবাসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গত শনিবার (৪ মার্চ) রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু ইতালিতে বসবাসরত নিয়োগকারী/মালিক ইতালীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্মসংস্থান কেন্দ্র/এএনপিএএল থেকে অনাপত্তি সনদ গ্রহণ করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন। এবারের ফ্লুসিতে ইতালির অভ্যন্তরের কর্মহীন/উপযুক্ত কর্মীরা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে সুযোগ পাবেন।
এ ধরনের কর্মীর সংস্থান না হলে কেবল তখনই প্রতিষ্ঠানগুলো ইতালির বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগ দেওয়ার আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগকারী মালিক নির্ধারিত পাবলিক ডিজিটাল আইডেনটিটি সিস্টেম ই-মেইল থেকে যাকে তিনি নিয়োগ করতে চান তার নাম, পাসপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করে ইতালির স্থানীয় প্রিফেতুরা (স্থানীয় প্রশাসনিক অফিস) থেকে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ আবেদনের জন্য নিয়োগকারী মালিকের ব্যয় হবে ১৬ ইউরোসম বাংলাদেশি টাকা। তবে আবেদন দাখিলের জন্য ইতালির কোনো হেল্প ডেস্কের সহায়তা নিলে তার জন্য সার্ভিস চার্জ বাবদ একটি ফি পরিশোধ করতে হতে পারে যা ক্ষেত্র বিশেষে ৩০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। আবেদনের জন্য এ ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সিজনাল ভিসায় ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যারা বিগত ৫ বছরের মধ্যে ইতালিতে সিজনাল ভিসায় নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং প্রক্রিয়া অবলম্বন করে নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন তাদের জন্য ১৫০০ জনের কোটা নির্ধারিত থাকবে। সিজনাল ভিসায় কৃষি কাজ করার জন্য কোটা বরাদ্দ আছে ২২ হাজার। এই কৃষি কাজের জন্য ৩৩টি দেশ (বাংলাদেশসহ) কোটা সুবিধার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অপরদিকে নন সিজনাল, স্পন্সর, উদ্যোক্তা ভিসায় ৩৮ হাজার ৭০৫ জন কর্মী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। নন সিজনাল ভিসায় মালবাহী পরিবহনের জন্য চালক, নির্মাণশিল্প, পর্যটন ও আবাসন ব্যবস্থাপনা কারিগরি, টেলিযোগাযোগ, জাহাজনির্মাণ, খাদ্যসামগ্রী বিক্রয় ও ব্যবস্থাপনা সেক্টরগুলোতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত আছে। এই ৩৩টি দেশের জন্য ৩০ হাজার ১০৫টি কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক করে কোনো কোটা নির্ধারণ করা হয়নি।
এ বছর ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, মিশর, এল সালভেদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, জর্জিয়া, ঘানা, জাপান, গুয়েতেমালা, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলদোভা, মন্টেনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পেরু, রিপাবলিক অব নর্থ মেসেডোনিয়া, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনিশিয়া ও ইউক্রেন।
ইতালিতে অবস্থানরত সিজনাল ভিসায় এবং শিক্ষা/ প্রশিক্ষণ ভিসায় আগত ৬ হাজার ৬০০ জনের ভিসা পরিবর্তন করে স্থায়ী কর্মী ভিসায় (নন সিজনাল ভিসায়) রূপান্তর করার সুযোগ থাকবে বলে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
টিএ/