আদিয়াত হাসান: তুরস্কের ভয়াবহ ভুমিকম্পে বিপর্যস্তদের জন্য হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক পিকাপ কম্বল পাঠানো হলো।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক এম্বাসিতে এম্বাসেডর প্রতিনিধি ড. উজগুর হোজার হাতে কম্বল হস্তান্তর করেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইবরাহীম খলিল, সহ- সভাপতি ইকবাল বাহার ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহসিন বিন মুঈন।
এসময় ড. উজগুর হোজার এম্বাসির পক্ষ থেকে রিসিভ কপি ও তুর্কি-বাংলা ফ্রেন্ডশীপ পতাকা উপহার দেন এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছুঁইছুঁই। আহত লাখেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৫৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩৮ হাজার ৪৪ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন। তবে জাতিসংঘের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীসহ বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি কর্মী মাঠে কাজ করছে। অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও জীবিত প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এদিকে ভূমিকম্পটিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। এতে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
কেএল/