আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। কিছু অপশক্তি আছে যারা সুযোগ খোঁজে আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে। সকল ধর্মাবলম্বীদের মাঝেই এ ধরনের লোকজন আছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য সব ধর্মের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্ত ধর্মীয় সংলাপ ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য মন্দির সংস্কার ছাড়াও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ২১ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড করে দিয়েছেন। মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ২ হাজার ৩৫১টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কর্মসূচির অধীনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অন্যান্য ধর্মের জন্যও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ঈদগাহ, কবরস্থান, শ্মশান সংস্কার বাবদ বিগত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
টিএ/