আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় অন্তত ৫২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ।
আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও কয়েকটি কম্পন টের পাওয়া গেছে।
তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের কোটি মানুষ ভূমিকম্পটি টের পেয়েছেন। এর কেন্দ্রস্থল তুরস্কের শহর গাজিয়ান্তেপে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওক্তায়ে বলেন, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দুই হাজার ৩২৩ জন।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রদেশ আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও তারতুস প্রদেশে নিহতের সংখ্যা ২৩৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন।
তবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত প্রদেশগুলোতে হতাহতের সংখ্যা কত তা জানা যায়নি।
অনেকে বলছেন, এটি তুরস্কে ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূকম্পনবিদ স্টিফেন হিকস বলেন, এর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহাণি ঘটে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিম তুরস্কের এলাজিগ প্রদেশে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪১ জন নিহত হন। আহত হন ১৬শ'র বেশি মানুষ।
সিরিয়ার জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ রাষ্ট্রীয় রেডিও স্টেশনকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৪০টি স্বল্পমাত্রার ভূকম্পন হয়েছে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থলের কাছে সিরিয়ার লাখো শরণার্থীর বাস। তুরস্ক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশ। দেশটিতে প্রায় ৩৭ লাখ সিরিয়ান নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গেছে,এখনো পর্যন্ত অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
ইতালির দক্ষিণ অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নাগরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান টুইট করে ভূমিকম্পের ভুক্তভোগীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আশা করছি দ্রুতসম্ভব আমরা কম ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্যোগটি একসঙ্গে কাটিয়ে উঠব।
তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য ইউনিট সতর্ক রয়েছে।
টিএ/