আহমাদ তাওকীর।। ভারতে উচ্চশিক্ষায় মুসলিম নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। অথচ, সামগ্রিকভাবে মহামারি চলাকালীন মুসলিমদের তালিকাভুক্তি হ্রাস পেয়েছিল। অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশনের ২০২০-২১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তালিকাভুক্ত মুসলিম শিক্ষার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ২০১৯-২০ সালে যেখানে মুসলিম ছাত্রের সংখ্যা ২১ লাখ (৫.৫ শতাংশ) ছিল সেখানে ২০২০-২১ সালে তা কমে ১৯.২১ লাখে (৪.৬ শতাংশ ) নেমে এসেছে।
গত রোববার (২৯ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র যেমন: খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং জরথুস্ট্রিয়ান (পার্সি) ২ শতাংশ (৮.২৯ লক্ষ) নথিভুক্তি তৈরি করেছে, যা গত বছরের পরিসংখ্যান থেকে ২.৩ শতাংশ কম।
তবে, পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তালিকাভুক্তিতে মুসলিম নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। ২০১৯-২০ রিপোর্টে ৫০.২ শতাংশ দেখানো হয়েছে, যা কিনা ২০১৮-১৯ সালে ছিল ৪৯.৩ শতাংশ আর ২০১২-১৩ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ ৷
বিশেষত, উচ্চ শিক্ষায় প্রতি ১ হাজার মুসলিম ছাত্রের মধ্যে ৫০৩ জনই নারী। এখানে, উচ্চ শিক্ষাকে স্নাতক কোর্স এবং অন্যান্য ডিগ্রিকে, ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।
শ্রেণীকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটি কর্ণাটকে উত্তাল করার কয়েক মাসের মধ্যেই এই তথ্যগুলি প্রকাশিত হয়েছে। অনেক অল্পবয়সী মুসলিম মেয়েকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মুসলিম নারীরা উচ্চশিক্ষায় দিন দিন এগিয়েই চলেছে।
-টি আই