আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশটির জান্তা সরকারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। গেল মঙ্গলবার দেশটির জ্বালানি কর্মকর্তা ও একাধিক জান্তা সদস্যদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন, খনি উদ্যোক্তা, জ্বালানি কর্মকর্তা এবং বর্তমান ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ট্রেজারি এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের অধীনে থাকা তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই) কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গেল মঙ্গলবার কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।
একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিরোধীদের ওপর রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছে জনগণ।
মার্কিন নতুন নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এমওজিই-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক রয়েছে।
মানবাধিকার আইনজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে এমওজিই-র ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে আসছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিকে বাদ রেখেছিল।
অবশেষে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মাইনিং এন্টারপ্রাইজ নম্বর-১ এবং মাইনিং এন্টারপ্রাইজ নম্বর-২ এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার হলো।
এদিকে চলতি বছরের আগস্টে দেশটিতে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জান্তা সরকার। গেল শুক্রবার সামরিক বাহিনী থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রয়োজনীয়তা ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে সংসদে তাদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি অন্যতম। এমন পদক্ষেপ সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। সূত্র: খবর রয়টার্স।
-এটি