হাফেজ মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রাহমানী
মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষের সকল কাজকর্ম, চলা-ফেরা, উঠা-বসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পারস্পরিক আচার-ব্যবহার, সবকিছু লিখে রাখার জন্য দুইজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। সূরা ইনফিত্বারের ১১-১২ নং আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ۙ یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ
অর্থ: সম্মানিত লেখকবৃন্দ। যারা জানে তোমরা যা কর। এমনিভাবে সূরা ক্বাফ এর ১৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে
مَا یَلۡفِظُ مِنۡ قَوۡلٍ اِلَّا لَدَیۡہِ رَقِیۡبٌ عَتِیۡدٌ অর্থ: মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত আছে, যে (লেখার জন্য) সদা প্রস্তুত। মোটকথা আদম সন্তানের সৎ-অসৎ সকল কার্যাবলিই ফেরেশতারা লিখে রাখেন।
কিন্তু এমন একটি দু'আ রয়েছে,যা পড়লে আমল লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতারা এর সওয়াব লিখতে হয়রান হয়ে যায়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা:- তাদেরকে ঘটনা শুনিয়েছেন যে,আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যকার এক বান্দা বললো, يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ অর্থ: “হে প্রভু! আপনার মহিমা ও বিরাট রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা আপনার জন্য”।
ফেরেশতা দু’জন একথা শুনে হতবাক হলেন এবং তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে, তা কিভাবে লিপিবদ্ধ করবেন। তাই তাঁরা আসমানে আরোহণ করে আরয করলেন, হে আমাদের রব! আপনার বান্দা এমন কালেমা বলেছে, যা আমরা কিভাবে লিখবো তা বুঝতে পারছি না। মহান আল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, আমার বান্দা কী বলেছে ?অথচ তাঁর বান্দা যা বলেছে সে সম্পর্কে তিনিই অধিক অবগত, ফেরেশতাদ্বয় বললেন, হে আমাদের রব! সে বলেছে يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَلِعَظِيمِ سُلْطَانِكَ তখন আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে বললেন আমার বান্দা যেমন বলেছে তেমনই লিখে রাখো, অবশেষে যখন সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন আমি তাঁকে এর বিনিময় প্রদান করবো। ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৮০১।
লেখক ফাজেল, জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। শিক্ষার্থী, বিন্নূরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,করাচি, পাকিস্তান।
-এটি