সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

উচ্চ বংশের পরিচয় পরকালে কাজে আসবে কী? হজরত সালমান ফার্সি রা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।

হজরত সালমান ফার্সি রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। কুরাইশ গোত্রের কিছু মানুষ তাঁর কাছে বংশ মর্যাদা নিয়ে পরস্পর গর্ব করতে শুরু করেছে। তাদের কথা শুনে হজরত সালমান ফার্সি রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, ‘তবে আমাকে নাপাক নুতফা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপর আমি ফিরে যাবো পচা মৃতদেহে। তারপর উপস্থিত হবো, মিজানের পাল্লায়। যদি মিজানের পাল্লা ভারি হয়ে যায়, তাহলে আমি সম্মানিত ব্যক্তি। আর যদি মিজানের পাল্লা হালকা হয়ে যায়, তাহলে আমি নিকৃষ্ট ব্যক্তি।’

লেখক বলেন, তবে হ্যাঁ, যদি উচ্চ বংশের সাথে যদি তাকওয়া সম্পৃক্ত থাকে, তাহলে তা হবে নূরের উপর আরো নূর। আর যদি বংশ তাকওয়া মুক্ত হয়, তাহলে সেটি প্রশংসার তুলনায় নিন্দার বেশি উপযুক্ত। সুতরাং বংশকে টেনে নিয়ে আসা কোনো মানুষের জন্য প্রশংসার কিছু হতে পারে।

হজরত ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘পবিত্র কুরআনুল কারীমে একটি আয়াতও এমন নেই, যেখানে বংশের কারণে কারো প্রশংসা করা হয়নি। এমন একটি আয়াতও নেই, যেখানে বংশের কারণে কারো নিন্দা করা হয়েছে। তবে প্রশংসার বস্তু হিসাবে পবিত্র কুরআনুল কারীমে যা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হলো, ঈমান আর তাকওয়া। আর নিন্দার বস্তু হিসাবে যা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হলো, কুফুরি, গুনাহ আর নাফরমানি।’

লেখক বলেন, হজরত ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা যথাযথই বলেছেন। আল্লাহ তায়ালা আবু লাহাবের নিন্দায় পূর্ণ একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন। আবু লাহাবের খারাপতা বর্ণনা করেছেন। কারণ হলো, সে আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করতো। সে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে শত্রুতা পোষণ করতো। রাসূলের কুৎসা প্রচার করে বেড়াতো।

অন্যদিকে আল্লাহ তায়ালা হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুরা আবাছা এবং বিভিন্ন সুরার আয়াতে মুমিনদেরকে কাছ থেকে সরিয়ে দিতে নিষেধ করেছেন।

আহ! আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতের দিনে যদি আমাদের মিজানের পাল্লা ভারি হয়ে যায়, তাহলে আমাদের চেয়ে বেশি সম্মানী আর কে আছে? আর যদি আমাদের মিজানের পাল্লা হালকা হয়ে যায়, তাহলে আমাদের চেয়ে নিকৃষ্ট আর কে আছে?

আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোষ-ত্রুটিসমূহকে ঢেকে রাখুন। আমাদের মিজানের পাল্লাকে ভারি করে দিন। আমাদের আমলনামাকে বরকত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিন। তাঁর বিশেষ দয়া ও অনুগ্রহে আমাদেরকে জান্নাত দান করুন। আমীন। রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ